নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তোলা তো দূর, তাঁর বিরুদ্ধে সামান্য দুর্নীতিরও প্রমাণ বিজেপি দিতে পারলে স্বেচ্ছায় ফাঁসির দড়িতে ঝুলে যাবেন। বিজেপির তোলাবাজ ভাইপো হঠাও শ্লোগানের বিরুদ্ধে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের জবাবে এই কথাই বললেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারাম পুর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় মূল বক্তা ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন শুরুতেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন গত চার জানুয়ারী তিনি প্রথম উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন। আলিপুরদুয়ার জলাপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে কিছু কর্মসূচি থাকলেও জনসভা শুধু মাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরেই করলেন। এখানকার মাটি ও মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নতুন বছর শুরু করছেন। নতুন বছরের অঙ্গীকার বিজেপিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। ২০২১এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য আবার মুখ্যমন্ত্রী করে এনে বহিরাগত যাঁরা বাংলার ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চাইছে সেই বিজেপিকে বিদায় করতে হবে। নাম না করে তাঁকে লক্ষ্য করে বিজেপির শ্লোগান “তোলাবাজ ভাইপো”র জবাবে এদিন গঙ্গারামপুরের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন বেশ কিছুদিন ধরেই নাম না ধরে ভাইপো সম্বোধন করে বিজেপি তাঁকে তোলাবাজ ভাইপো বলে গালিগালাজ করছে। মামলার ভয়ে বিজেপি তাঁর নাম নিতে ভয় পায়। তাই ভাববাচ্যে কথা বলে। বিজেপি ভয় পেলেও তিনি ভয় পান না।
গঙ্গারামপুরের সভামঞ্চে তিনি মাইক্রোফোন হাতে চিৎকার করে বলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহ দুইজনেই বহিরাগত। পাশাপাশি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয় বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা বলতেও ছাড়েন নাই। এব্যাপারে বিজেপির বুকের পাটা ও ক্ষমতা থাকলে মামলা করার পাশাপাশি তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেখাক যে কে সত্যি আর কে মিথ্যে বলছে। তোলাবাজ ভাইপো স্লোগানের বিরুদ্ধে তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন আর তোলাবাজ ভাইপো বলতে হবে না এবং ইডি সিবিআইও লাগাতে হবে না।
শুধু প্রমান করে দেখাক যে বাংলা নামে তাঁর কার্যকলাপের জন্য সামান্যতম কলঙ্ক লেগেছে। তোলাবাজি কেউ যদি প্রমান করতে পারে বা বিন্দুমাত্র দুর্নীতির সাথে জড়িত তাহলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যু বরণ করবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নাই। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে উপস্বর্গবিহীন করোনা নামে সম্বোধন করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন এখন অনেকেই নিজে সত্যবাদী সেজে বলছে কলকাতা ও দিল্লিতে একই সরকার থাকতে হবে। কারণ তাতে ইডি সিবিআই কিছুই থাকবে না এবং চুরি করতে সুবিধা হবে।