নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জোড়া ডার্বি জিতে টগবগ করে ফুটছে এটিকে মোহনবাগান। দলও আইএসএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-কে হারাতে পারলে লিগ পর্বে শীর্ষে থেকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। তবু এতটুকু ঢিলেমি দিতে রাজি নন স্প্যানিশ কোচ। বরং ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি যাতে না আসে সেদিকে কড়া নজর হাবাসের। তবে স্বীকার করে নিলেন, ফিরতি ডার্বিতে জয় তাঁকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। হাবাসের ব্যাখ্যা, ‘কোচ হিসেবে প্রতি ম্যাচেই তিন পয়েন্ট চাই। দিনের শেষে জয়টাই আসল কথা। তবে যদি দুটো ডার্বির তুলনা করেন তাহলে এই জয় অনেক বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। কারণ প্লে-অফের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এই ডার্বি-জয় ওষুধের মত কাজ করবে। তাছাড়া গত ডার্বির তুলনায় এই ম্যাচে দল অনেক বেশি ভাল ফুটবল খেলেছে। আক্রমণের ঝাঁঝ অনেক বেশি ছিল। তাই এই জয় বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।’
সোমবার প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। যাদের হারাতে পারলেই এক ম্যাচ বাকি থাকতেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নিতে পারবে তাঁর দল। গত ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ ভারতের এই দলের মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ-মেরুন। মনবীর সিংহ সেই ম্যাচে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও তাঁর ভুলেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফিরিয়েছিলেন জোয়াও ভিক্টর। ফলে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচ। হায়দরাবাদের রক্ষণে ওডেই ওনাইন্ডিয়া রয়েছেন। মাঝমাঠে আছেন জাও ভিক্টরের মত বিদেশি। এছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে নজর কেড়েছেন সৌভিক চক্রবর্তী, নিখিল পুজারি ও হোলিচরণ নার্জারি। আক্রমণে আদ্রিয়ানে সান্তানা, ফ্রান সান্দাজার মত বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলছেন রোহিত দানো, লিস্টন কোলাসোর মত তরুণ ভারতীয়। তাই বিপক্ষকে সমীহ করছেন হাবাস।
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘ওদের দল অনেকটা আমাদের মত। খেতাব জেতার জন্য একটা দলে যা যা দরকার এই দলটার মধ্যে সেই গুন রয়েছে। প্রতি বিভাগে ম্যাচ জেতানো ফুটবলার ছাড়াও ওদের মাথার উপর রয়েছেন ম্যানুয়েল মারকুয়েজের মতো কোচ। তবুও আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই বলে আত্মতুষ্টি ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কোনও জায়গা নেই। কারণ ওরা সবসময় চমক দিয়েছে।’ এডু গার্সিয়ার গোড়ালির চোট এখনও সারেনি। এর মধ্যে গত ম্যাচে আবার চোট পান মার্সেলিনহো। যদিও এই ব্রাজিলীয়র চোট নিয়ে চিন্তিত নন হাবাস। দল ভাল জায়গায় আছে বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে খেলাতে পারেন। সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন।
দলের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণা সম্পর্কে হাবাস বলেছেন, ‘রয় কৃষ্ণা শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার নয়, ও খুবই ভদ্র ও পেশাদার। এর ফলেই চোট-আঘাত ছাড়া লাগাতার ফুটবল খেলে সাফল্য পাচ্ছে। তাই আমার মতে রয় হল চলতি লিগের সেরা ফুটবলার।