কলকাতা টুডে ব্যুরো: গোয়ায় নির্বাচনের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে সামপে রেখে গোয়ায় ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশিত করল বিজেপি।এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রসকেও যেভাবে টার্গেট করতে দেখা গেল তাঁকে, তা থেকে পরিষ্কার গোয়ার নির্বাচনে তৃণমূল অংশ নেওয়ায় চিন্তার ভাঁজ বিজেপির কপালে। তৃণমূলকে তাই ‘হিন্দু বিরোধী’, ‘গণতন্ত্র বিরোধী’ বলে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। যা থেকে পরিষ্কার, তৃণমূলকেও তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছে গেরুয়া শিবির।এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে ফড়নবীশ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় স্যুটকেস নিয়ে এসেছিল দল বাড়াতে।’
আরও পড়ুনঃ ’এই সব নাটক নির্বাচনের আগে হয়,’ অখিলেশের সমর্থনে মমতার সভা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
ফড়নবীশ এদিন ঘাসফুল শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় স্যুটকেস নিয়ে এসেছে। এভাবেই গোয়ায় দলকে প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে। যেন গোয়া একটি বাজার এবং সেখানকার নেতাদের এই বাজারে কিনতে এসেছে তৃণমূল। তৃণমূল আসার পর গোয়ায় যে ধরনের রাজনীতি করেছে, গোয়া ইতিমধ্যেই সেই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।’
আরও পড়ুনঃ খামখেয়ালি শীতের ফাঁকেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি বঙ্গে
অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই গোয়ায় তৃণমূল ও আপের লড়াই বিরোধী ভোটকেই ভাগ করবে বলে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম । টুইট করে বলেছিলেন, গোয়ার মানুষকেই বেছে নিতে হবে, তারা শাসনের পরিবর্তন চান কিনা। যদি তাঁরা ১০ বছরের অপশাসনের পরিবর্তন চান, তাহলে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে। আর যাঁরা শাসনে বিজেপিকেই দেখতে চান, তাঁরা বিজেপিকেই ভোট দিন। এবারের লড়াই সরাসরি বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্যে, এই টুইটের মাধ্যমে তা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন চিদাম্বরম। অপর একটি টুইটে চিদাম্বরম আরও বলেছিলেনন, আপ ও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অর্থ সেখানকার বিরোধী ভোটকে ভাগ করা।
আরও পড়ুনঃ ‘করোনার মৃত পরিবারের আবেদন সঠিক সাংখ্যার সাথে মিল নেই ,’ অভিযোগ শমীক ভট্টাচার্যর
এদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানান, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের ছেলেকে পানাজি থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি। উত্পল পর্রীকর এর আগে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দাবি করেছিলেন যে পানাজির বর্তমান বিধায়ক আতানাসিও মনসেরা একজন অপরাধী। তবে পর্রীকর জুনিয়রের আপত্তি সত্ত্বেও পানাজি আশন থেকেই আতানাসিওকেই টিকিট দেওয়া হল। এই পরিস্থিতিতে ফড়নবীশ জানান, মনোহর পুত্রকে অন্য আসন থেকে লড়াই করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে উত্পলের সঙ্গে আলোচনা জারি রয়েছে। ফড়নবীশ আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে। মনোহর পর্রীকর এই পানাজি আসন থেকেই বিগত ২৫ বছর ধরে নির্বাচনে লড়ে এসেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে লড়ে জেতেন বিজেপির আতানাসিও। তবে বাবার ইসন থেকেই লড়তে মরিয়া ছিলেন উত্পল। এই পরিস্থিতিতে পানাজি থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে উত্পল লড়েন কিনা, সেদিকে নজর সবার। আবার আম আদমি পার্টিতেও তাঁর যোগদানের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই আবহে উত্পলকে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই আছে বিজেপি।
Topics
Devendra Fadnavis BJP TMC Administration Kolkata