আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি
অবশেষে আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় দলে যোগ দিয়েছি। দলের একজন সুশৃঙ্খল সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্বই দোল থেকে দেওয়া হোক না কেন তা আমি যথাযথভাবে পালন করবো।
তিনি আরও বলেন “আজ আর বিশেষ কিছু বলার নেই এই কথা বলা ছাড়া আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এবং একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায় লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটেই যাতে ২০২৬ এই তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে”।
তার কথায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা খুব দরকার বাংলার প্রয়োজনে এবং একজন বাঙালি হিসেবে আমি অত্যন্ত কষ্ট পাই যখন দেখি বাংলা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে তাই আমি এই দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু করার জন্য, আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে আমি তা পালন করব,” রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে বলেছেন, “তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ।
আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রাক্তন বিচারপতিকে স্বাগত জানাই।” অভিজিৎ সল্টলেকে বিজেপির অফিসে পৌঁছেছেন। তার যোগদান অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণের মধ্যেই। বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা তাকে শাঁখা ও ফুলের বর্ষণ দিয়ে স্বাগত জানায়। ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতেও শোনা যায়.
বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ
বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ। দুপুর ১২টার কিছু পরে তিনি বাড়ি থেকে বের হন প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমি আজ বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছি। বিজেপি নেতারা এসেছেন। আজ আমার খুব ভালো লাগছে। আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে আমি তা পালন করব।”
এরপরেই অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে আক্রমণ করে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঞ্জা বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁর বাড়িতে যেতেন। এটা আজ স্পষ্ট যে বিচারকের চেয়ারে বসে তিনি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। তিনি একজন বিচারকের পদকে অসম্মান করেছেন।” সকাল ১১ টার দিকে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ সল্টলেকে অভিজিতের বাড়িতে যান। সল্টলেকের বিজেপি অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য , যেখানে তার যোগদান অনুষ্ঠান হবে। অগ্নিমিত্রার কথায় ,
“আমি মিস্টার অভিজিৎকে নিতে এসেছি। আমরা তাকে সল্টলেকের অফিসে নিয়ে যাব, যেখানে জয়েনিং অনুষ্ঠান হবে। তার পর আমাদের একটা দল সন্দেশখালি যাবে।” সজল বলেন, “এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে পাওয়া আমাদের জন্য উপকারী হবে। তিনি মানুষের কাছে দেবতার মতো। এটি বিজেপিকে সমৃদ্ধ করবে।” পদ্মের পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই অভিজিৎকে ঘিরে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তাঁকে ব্যঙ্গ করেছে তৃণমূল। সিপিআই(এম), যারা একসময় অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অভিজিৎকে নিয়ে উত্তেজিত ছিল, তারা এখন তার কঠোর সমালোচনা করেছে।