কলকাতা টুডে ব্যুরো: ফিরল 2019 এর আতঙ্ক। ফের ফাটল বউবাজারের বাড়িতে। মেট্রো রেলের কাজের কারণেই বউবাজারের ১০টি বাড়িতে ধরল ফাটল। ভোররাত থেকে ঘরছাড়া একাধিক পরিবার। এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। এদিকে, বারংবার বাড়িতে ফাটল ধরায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। অভিযোগ, ফাটলের কথা জানানোর পরও মেট্রো রেলের প্রতিনিধিরা আসেনি। পরে মেট্রো রেলের তরফে তিন প্রতিনিধিদের পাঠানো হলেও, তাদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেন বাসিন্দারা। পরে এলাকা পরিদর্শন করেন মেট্রো রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।
২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বউবাজারে বিপত্তি শুরু হয়। একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরে, ভেঙেও পড়ে কয়েকটি বাড়ি। ৬০০-রও বেশি বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময়। চলতি বছরের মে মাসেও দুর্গাপিতুরি লেন, মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হোটেলে সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ ফের একাধিক বাড়িতে দেখা গেল ফাটল।
জানা গিয়েছে, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ফাটল ধরেছে। কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ভোর রাত থেকেই বাড়ির বাসিন্দারা ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন। এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি। ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা আসেন।
বারংবার বাড়িতে ফাটল ধরার ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া অবধি তাঁরা কোথাও যাবেন না। বারবার হোটেলে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই পুলিশের সহায়তায় হোটেলে চলে গিয়েছেন।
এদিকে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বরুপ দে। তিনি ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। তিনিও গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কে দায়িত্ব নেবে এই মানুষদের? শুধুমাত্র মেট্রো কর্তৃপক্ষের জন্য বউবাজার স্ট্রিট ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত বয়ান চেয়েছি।”