কলকাতা টুডে ব্যুরো: তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিটে সাক্ষী করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI। এদিকে তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা বলছেন, ‘চার্জশিটে যে কাউকেই সাক্ষী করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারকের সামনে সংশ্লিষ্ট ওই সাক্ষী কী বলছেন, সেটাই বড় কথা।’ ফলত এই ঘটনায় এজলাসে দাঁড়িয়ে শতাব্দী রায় কী বলবেন তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
বীরভূম জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল ও শতাব্দীর রায়ের সম্পর্কের সমীকরণ মোটামুটি জানেন সকলে। কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে তারকা সাংসদের মতপার্থক্য মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে আসে। তবে রাজনীতির ময়দানে দু’জনই একরোখা তৃণমূল। একসময় শতাব্দীকে জেতাতে আদাজল খেয়েও নামতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রতকে।আবার SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ‘একাকী’ কেষ্টদাকে দেখতে ছুটে আসেন দলের তারকা সাংসদ। এমনকী তাঁর গ্রেফতারির পর বীরভূমের এক দলীয় সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এই সবের পরও শতাব্দীকে সাক্ষী করে একাধির জল্পনা উস্কে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ৭ই অক্টোবর গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।সেখানে সাক্ষী হিসেবে মোট ৯৫ জনের নাম দাখিল করা হয়। সেই তালিকায় ৪৬ নম্বরে রয়েছেন শতাব্দী। জানা গিয়েছে, চার্জশিট জমা করার একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য নথিভূক্ত করা হয়।
সিবিআইয়ের দাবি, ১৬১ ধারায় নোটিস পাঠিয়ে তৃণমূল সাংসদকে জেরা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সেই কারণেই সাক্ষী হিসেবে শতাব্দীর নাম রাখা হয়েছে। শুধু শতাব্দী নন, অনুব্রতর একাধিক ঘনিষ্ঠকেও সাক্ষী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সিবিআই। যেমন, রাজীব ভট্টাচার্য, মলয় পিট মতো তাঁর একদা ঘনিষ্ঠরা রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের সাক্ষীর তালিকায়।