কলকাতা টুডে ব্যুরো: আসানসোল জেলে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED-র দাবি, জেরায় আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন সেহগাল। দিল্লির সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই সেহগলকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সেহগলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ED। CBI গ্রেফতার করেছিল সেহগলকে। শুক্রবার, এই মামলায় ED-র মামলার প্রেক্ষিতে জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করে ED, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ED সূত্রে খবর, আসানসোলের অবসরকালীন বেঞ্চে সেহগলকে তোলা হবে।
গরু পাচারকাণ্ডে চতুর্থ চার্জশিট জমা পড়ল আসানসোল আদালতে। CBI সূত্রের খবর, ৩৫ পাতার এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে এই দুর্নীতিকাণ্ডের মূল পৃষ্ঠপোষক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে CBI। তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, সেই ধারাগুলোই অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।