কলকাতা টুডে ব্যুরো: ডেঙ্গি প্রত্যেক বছর হয়। মৃত্যু আমাদের হাতে নয়। আমার বাড়িতেও হয়েছে। সাবধানতা অবলম্বন করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। জ্বর হলে বাড়িতে থাকুক। কিন্তু প্লেটলেট চিকিত্সকদের দেখিয়ে নিলে ভালো। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান, মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু আগের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে। বিরোধীরা যেখানে আছেন সেখানে ডেঙ্গু হয়েছে । কেরল এবং উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু হয়েছে। তারা প্লাজমা না দিয়ে নেম্বু রস দিয়ে দেয়। পেশাব খাইয়ে দেয়। মানুষ সচেতন না হলে যে সরকারই থাকুক না কেন, ডেঙ্গু রোধ হবে না। আমরা যতই নাটক করি, কিছু হবে না। প্রত্যেক বোরো ধরে ডেঙ্গু সচেতন করা হচ্ছে। ফিভার ক্লিনিক খুলে রাখা হয়েছে। পুজোর সময় সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা মাইকিং করছি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দিচ্ছি। সব করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বোরোতে ডেপুটি মেয়র Atin Ghosh মিটিং করেছে। কলকাতা পৌর সংস্থাতে বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনো রকম নির্দেশিকা পায়নি বলে অভিযোগ করলেন মেয়র। ফিরহাদ বলেন,আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। সব জায়গায় আমরা কাজ করছি। কলকাতায় যা সমস্যা ফাঁকা জমিতে জল জমছে। সেখান থেকে ডেঙ্গু মশা জন্মাচ্ছে।
আমরা নোটিশ করতে বলছি। অভিযুক্তদের পৌর আদালতে নিয়ে আসতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে , আমার কাছে এত মানুষ নেই। যে ৫০ হাজার মানুষ কে সারা কলকাতায় ঘোরাবো। মেয়রের দাবি,আমরা ড্রোন চালিয়ে স্প্রে করছি। সিঙ্গাপুরে পর্যন্ত ডেঙ্গু আছে। আমরা সারা জায়গায় ড্রোন দিয়ে স্প্রে করতে পারি না। প্রচুর মানুষ আছে যারা বিনিয়োগ করার জন্য জমি কিনে রেখেছেন। যাতে বেশি দামে জমি বিক্রি করতে পারে। অনেকে ফাঁকা জমিতে নোংরা ফেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় খালগুলোতে নোংরা ফেলা হচ্ছে। টাক্স টাকা দিয়ে পৌর পরিষেবা দেব না। যদি কে এম ডি এ জমি হয়,সেই জমি আমরা দিয়েছি। যদি সেই জমি পরিষ্কার না হয়, তাহলে সেই জমি কে এম ডি এ কে নোটিশ করতেই হবে।