কলকাতা টুডে ব্যুরো: বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে জল গড়িয়েছে বহু দূর। ঘটনার পর থেকেই আঙ্গুল উঠেছে পুলিশি গাফিলতির। ক্লোজ করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসিকে। তারপরই তদন্ত ভার দেওয়া হয় CID- এর হাতে। শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। গ্রেফতারের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে। সিআইডি হাতে তদন্ত যেতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত। তাহলে পুলিস কি করছিল?
শুক্রবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেন, “সবই গট আপ। যারাই মারছে, তারাই পুলিসকে চালাচ্ছে । তারাই আমাদের প্রেসিডেন্ট কে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। গোটা সমাজের দুবৃত্তায়ন হয়ে গেছে। সিবিআই না এলে বোঝাই যেত না এ রাজ্যে পুলিস বলে কিছু আছে। বহু কেস রাজ্য দেখছিল। কি হয়েছিল সেগুলোর? এখন তৎপরতা বাড়ছে। এখন সিবিআই এর সঙ্গে কম্পিটিশন করার জন্য সিআইডি নামছে। তাও ভালো। কিছু তো করুন। মানুষ সুবিচার পাক।”
এছাড়াও তিনি অভিষেকের পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধিশূণ্য করার ডাকের প্রসঙ্গে বলেন,”তার আগে যদি ওরাই শূণ্য হয়ে যায়, কি হবে ভাবুন তো! যেভাবে সংসদ, বিধায়করা পালাচ্ছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে, কে বিরোধিশূণ্য করবে? আগে নিজের ঘর সামলান। তারপর বিরোধী নিয়ে ভাববেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দুদিন বীরভূম ছিলাম। গিয়ে প্রথমবার মানুষকে হাসতে দেখলাম। খোলা মনে ঘর থেকে বেরোতে দেখলাম। খুশি দেখলাম। আনন্দে দেখলাম। আগের বার গেছিলাম, চায়ের দোকানে চা চক্র করতে দেয়নি। দোকানের ঝাঁপ ফেলে দিয়েছিল। চা বিক্রেতা পালিয়ে গেছিল। এবার লোকে হেসে ডেকে চা খাওয়াল। পরিবর্তন হচ্ছে।”
Topics
Dilip Ghosh BJP TMC Administration Kolkata