কলকাতা টুডে ব্যুরো:”সরকারের পারফরম্যান্স কেমন, তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।”তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন তিনি বললেন, ”সরকারের পারফরম্যান্স কেমন, তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রাস্তার ধারে ধারে যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য ধরনা দিচ্ছে, ডিএ-এর জন্য, পেনশনের জন্য সমস্ত জায়গায় হাহাকার। মহিলারা নিজেদেরকে অসুরক্ষিত বলে মনে করছেন ,যাদের ভোট সবথেকে বেশি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বছরেই নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। আমি জানি না পাঁচ বছর হলে কী হবে। আর্থিক অবস্থা সব থেকে খারাপ। আর কিছুদিন পর থেকে বেতন দেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না সরকারের। দলের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে, আর তা সামাল দিতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।”
তিনি আরও বলেন,”সরকার পার্টি বলে আলাদা কিছু নেই। সরকারের মন্ত্রীদের কাছে কোন কাজ নেই, টাকা পয়সা নেই সরকারের। কোথাও গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, কন্ট্রাকটররা টাকা কবে পাবে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই মিটিং করে কোন লাভ নেই। দলের লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে জবাব দিতে হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না।”
আরও পড়ুন : ‘বাংলার মানে বাণিজ্য নয়, বাংলার মানে বগটুই’,’ কটাক্ষ সুকান্তর
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ”মানুষ এখনও আমাদের ভরসা করে। আমরা আন্দোলন করছি, লড়াই করছি। সেই জন্যই আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত টার্গেট হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকেই ঘরছাড়া। মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। যার ফলে মনোবলের অভাব ছিল বলে আমার মনে হয়। তবে আমরা দু তারিখ থেকে , আন্দোলনে নেমেছি। মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সে কাজটাই আমরা করছি।”
স্কুলে দীর্ঘ গরমের ছুটি নিয়েও সরকারকে একহাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ”এই সরকার যা করে সবই, উল্টো করে। সরকারের কোন ধৈর্য নেই। কে বলেছিল ছুটি দিতে। প্রাইভেট স্কুলগুলোতে ছুটি দিচ্ছে না। সমস্যা তো তাদের বেশি হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ চাইছে স্কুল খোলা থাকুক। ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক, পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। স্কুলের শিক্ষক নেই, তাই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা এটা। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থা উঠে যাবে। শিক্ষকদের রাজনীতির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে ভোট প্রচারেও।”
Topics
Dilip Ghosh BJP TMC Administration Kolkata