Home রাজনৈতিক অর্জুন সিংয়ের দলবদলের পরদিনই দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ

অর্জুন সিংয়ের দলবদলের পরদিনই দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো:বারাকপুরের সাংসদের দলবদলের পরেরদিনই দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অর্জুন সিংয়ের সাংসদপদ এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অর্জুনের দলবদলের পর বারাকপুরের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হওয়ার সম্ভাবনা।এদিন দিলীপ বলেন, “আসলে অর্জুন চাপে পড়ে চলে গিয়েছেন। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না।

 

 

প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই আত্মসমর্পণ করেছেন। চাপে পড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, বাধ্য হয়ে গিয়েছেন।’’অর্জুন সিং এর পুত্র তিনিও যোগদান করতে চলেছেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ,” এর আগেও দেখেছি স্বাভাবিক আছে এখানকার একটি পরিবারকে বাপ বেটা ধীরে ধীরে গিয়েছিলেন তারা এখন কোথায় আছেন সেটা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করতে হবে।।

 

 

” অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কোন অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন কিনা রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”অশনিসংকেত কিছু না। অনেক লোক এসেছিল, বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল এখন দেখছে সম্ভব হচ্ছে না অসুবিধা হচ্ছে একজন যেতেও পারে কি করতে এসেছিলেন জানিনা যখন ক্ষমতার কাছাকাছি পার্টি যায় তখন অনেক লোক আসে ক্ষমতার অলিন্দে সবাই থাকতে থাকতে চায় ক্ষমতার বিরুদ্ধে থাকতে মুশকিল হয়।

 

 

” আজকে কলকাতায় বিজেপির সাংগাঠনিক বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান ,” আজকে বৈঠকে ভার্চুয়াল ভাবে যোগ দেব। আমি দিল্লি থাকবো দিল্লি থেকে বৈঠকে যোগ দেব।”অর্জুন সিং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলে ভালো হতো এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নৈতিকতার ব্যাপার দল ছাড়লেন, প্রতীক ছাড়লেন, পদ ছাড়াও উচিত সেটা ঠিক করবেন কি করবেন না করবেন রাজনীতির মধ্যে নৈতিকতা নীতি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে অভাব হয়ে যাচ্ছে এইভাবে কি হয় পার্টির লাভ-ক্ষতির চাইতে রাজনীতির ক্ষতি বেশি হয়।

 

 

” তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্য বিজেপি ফেসবুকে সংগঠন করে অর্জুন সিং এর এই মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন,” উনি রাজ্য বিজেপির একজন নেতা ছিলেন এবং গত এক বছরে ৬০ জনের বেশি কর্মী বাংলায় খুন হয়েছে। এরকম হতো না বলে প্রশ্ন তোলেন, বাড়িতে বসে থাকলে সিপিএম কংগ্রেসের মতো খুন হত না, কিছু না কিছু করেছে তিনি নিজেও সেই অত্যাচারের টার্গেট হয়েছেন একশোর বেশি কেস তার ওপরে হয়েছে আমার ওপরে বাংলার সমস্ত কোর্টে কেস আছে বিজেপি যদি কিছু না করত বিজেপি টার্গেট হতো না বিজেপি বাংলায় বিরোধী দল হতো না।”রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপিতে এই ভাঙ্গন।

 

আরও পড়ুনঃ Anubrata Mandal: ফের সিবিআই-এর তলব অনুব্রত মণ্ডলকে

 

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,”সারা বছর হচ্ছে গত এক বছর ধরে আমরা এই ধরনের পরিস্থিতির সহ্য করেছি যারা ভেবেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এসে যাবে বলে এসেছিলেন হয়নি তাই জন্য অনেকে ফিরে যাচ্ছেন আমি আবার বলছি পার্টি যারা দাঁড় করিয়েছেন ২০১৯ সাল থেকে পার্টি যেভাবে দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করেছে সেই সমস্ত কর্মীরা আছেন তাদেরকে ব্যাকফুটে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। যাদেরকে ফ্রন্টফুটে আনা হয়েছিল তারাই চলে যাচ্ছেন।”

Related Articles

Leave a Comment