কলকাতা টুডে ব্যুরো:শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হামলা হয়েছে রাজ্যপাল মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,” এগুলো নতুন কিছু নয় আমাদের রাজ্য অফিসে হামলা হয়েছে একাধিক প্রার্থী নির্বাচন কার্যালয় হেস্টিংসের সেখানেও হামলা হয়েছিল নেতাদের গাড়িও ভাঙ্গা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু একজন বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট Rank তার অফিসে সুরক্ষিত নয় পশ্চিমবাংলায় আইন-শৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে যেটা আমরা বারবার বলি সেটাই তার প্রমাণ।”
বিজেপিকে হারাতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”সেই জোট টা কোথায় আছে লোকজন খুঁজছে কোথায় গেল অমাবশ্যার চাঁদের মতো গায়েব হয়ে গেছে এইসব বলে চলবে না। লোক বোকা নয় অনেক সুযোগ দিয়েছে উনারা সমাজকে কি দিয়েছেন আজ যে হিংসা হচ্ছে ইত্যাদি হচ্ছে গুলো পুনরায় শুরু করেছিলেন এরজন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে সমাজের কাছে।
বললেই হয়ে যাবে নাকি তৃণমূলের হাত ধরে যদি এক বা দুই শতাংশ ভোট বাড়ানো যেতে পারে এর থেকে বেশি কিছু হবে না।” জিটিএ নির্বাচনে বিরোধিতায় অনশনের হুমকি দিচ্ছেন বিমল গুরুং এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,” বিমল গুরুং এতদিন হারিয়ে গিয়েছিলে এখন একটু তাকে জমি খুঁজে পেতে হবে তার সংগঠন শেষ হয়ে গেছে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে এখন দিদির হাত ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন দিদি নির্বাচন ঘোষণা করবেন উনি বিরোধীত করবেন এরকম করে পাহাড়ে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছেন।”
বাংলায় বিজেপি মাথায় বসে থাকা নেতাদের নিচুতলার সাথে কোন সম্পর্ক নেই এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন,” হাজার নয় কমিটিতেই আছেন উনার বলা উচিত ঠিক জায়গায় যাতে এটা যদি সমস্যা থাকে তাহলে সমাধানের চেষ্টা ওখান থেকেই হোক।”
ধর্মান্তরণ এর জন্য কালিয়াচকের আই সির বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” বহু জায়গায় এরকম চক্রান্ত চলছে এবং বিশেষ সম্প্রদায় থেকে প্রশাসনে বসে থাকা লোকজন এই চক্রান্তের সাথে যুক্ত হয়ে গেছেন, আর এটা খুব সিরিয়াস অভিযোগ তদন্ত হওয়া উচিত কোন বিশেষ ব্যাক্তি সম্বন্ধে হলে অভিযোগ হওয়া উচিত।
যারা সেক্যুলারিজমের গান গাইছে তাদের সরকারের থেকে সংখ্যাগুরু সমাজের ওপর আক্রমণ হয় নিঃসন্দেহে তার ওপর একটা প্রতিক্রিয়া হবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অহিংসাও বাড়বে এব্যাপারে অবশ্যই সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।” সিদ্দিকুল্লা দপ্তরের অনুষ্ঠানে গরহাজির একাধিক মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,”মন্ত্রীরা আর আসতে চাইছেন না কোনো অনুষ্ঠানে পাবলিকের যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যেভাবে মন্ত্রীরা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে রিপোর্টে নাম হচ্ছে যত দুর্নীতি সামনে আসবে, যত বিচার হবে ততো বেশি মন্ত্রীর নাম আসবে আর ধীরে ধীরে তারা মানুষের সামনে থেকে গায়েব হয়ে যাবেন।” ডোমজুড়ে প্রকাশ্যে গুলি এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” সকাল বেলা উঠে গুলির আওয়াজ শুনতে হয় গুলি সম্বন্ধে আমাদের প্রতিক্রিয়া দিতে হয় এটাই পশ্চিমবাংলার বাস্তব চিত্র আমি বলেছি পুলিশ প্রশাসন সব জানে কোথায় বোম বন্দুক কার কাছে আছে, অপরাধী কোথায় আছে কিন্তু যেহেতু তারা তৃণমূল পার্টি ছত্রছায়ায় আছে তাই পুলিশের কিছু করার ক্ষমতা নেই।”