কলকাতা টুডে ব্যুরো: দু’দিন আগেই বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানের জেরে ভেসে যায় নয়টি তাজা প্রাণ। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শুক্রবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। শুক্রবার রাতে কার্নিভাল চলাকালীন ষাঁড়ে টানা গাড়িতে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রায়গঞ্জে। সেই ষাঁড়ই দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে মানুষজনকে ধাওয়া করে। ষাঁড়ের ধাক্কায় মারা যান এক ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম সাধন কর্মকার। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের CCU-তে অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শনিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করবে পুলিশ। এ ঘটনায় শোকাহত গোটা পরিবার। দুর্গাপুজো শেষের পর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ষাঁড়টি দড়ি ছিঁড়ে বেরোলে সকলেই আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তার শিং-এর গুঁতোয় একের পর দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে আঘাত করতে থাকে। গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে যায় দুর্গা প্রতিমা। আহতদের রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর চিকিৎসাধীন প্রায় ৮ জন।
জানা যায়, রাতে রায়গঞ্জের অনুশীলনী ক্লাবের শোভাযাত্রায় গরুর গাড়িতে টেনে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মোহনবাটি এলাকার কাছে একটি ষাঁড় সেই গাড়ির দড়ি ছিঁড়ে ছুটে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে শিলিগুড়ি মোড়ের দিকে ছুটতে থাকে। সকলকেই গুঁতোতে গুঁতোতে এগোলে বেশ কয়েকজন আহত হন। চোখের নিমেষে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়, ফলে কেউই কিছু করে উঠতে পারেনি। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী সহ প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতির মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কার্নিভালকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে মাল নদীতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এই ঘটনা। ফের প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনকে কেন্দ্র করে।