কলকাতা টুডে ব্যুরো: উমাকে বিদায় জানাতে এসে ফেরা হল না ঘরে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জন কালে এই ঘটনায় বিষাদে ভরে উঠেছে সকলের।রাতে প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। আর সকালে গাড়িতে ঠায় দাঁড়িয়ে মা দুর্গা। এমনই ছবি মালবাজারে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৪০ জনেরও বেশি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘অন্যতম বড় পুজো এটি। কিন্তু যা ঘটনা ঘটল তার পর মায়ের নিরঞ্জন হয়নি। আমাদের মন খুব খারাপ। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সব স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এমন অবস্থা।’ স্থানীয় ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকার পরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারিনি। গোটা মালবাজার বুঝে উঠতে পারছে না।’
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে গত ২-৩ দিন ধরেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কারণ, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে দক্ষিণা বাতাস সরাসরি পাহাড়ে পৌঁছে বৃষ্টি নামানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছিল। দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ছিল জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে। বর্ষার শেষবেলায় এই ভারী বর্ষণই হড়পা বানের সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। পাহাড়ি নদীর উচ্চ প্রবাহ বা আপার ক্যাচমেন্টে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকলে হড়পা বানের আশঙ্কা বাড়ে। নদীখাত অগভীর হলে জলের তোড় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে হড়পা বানে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে এই বিষয়টি নজর দেওয়া হয়নি কেন? উঠছে প্রশ্ন।
মালবাজারের দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা পিএমও-র। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা।