পুরনিয়োগ মামলায়, আরও দুই জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি
পুরনিয়োগ মামলায়, আরও দুই জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।
অন্য দিকে, উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি । আগে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন সুবোধ। শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি আধিকারিকের দল। সুবোধের বাড়ির চার পাশেও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ইডি সূত্রের খবর, ওই নথিতে ‘এসবি’ সাঙ্কেতিক নামে সুজিতের পরিচয় দেওয়া হয়
উল্লেখ্য , অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো কালীন ইডির হাতে যেই নথি আসে তাতেই মেলে সুজিতের নাম। তবে ইডি সূত্রের খবর, ওই নথিতে ‘এসবি’ সাঙ্কেতিক নামে সুজিতের পরিচয় দেওয়া হয়। সুজিতের নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সাঙ্কেতিক নাম। রাজ্যের আর এক বিধায়কের নামও রয়েছে ওই নথিতে। জানা যাচ্ছে, ওই নথিতে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করেছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
এই তদন্তের মূল ভাগ শুরু হয় গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ থেকে। সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান হয়। সেই সময় দিস্তা দিস্তা উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)-এর পাশাপাশি ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা।
ইডির জেরায় অয়ন শীল জানিয়েছেন, পুর নিয়োগে দুর্নীতি ২০১৪-’১৫ সাল থেকে শুরু হয়। সেই সময় অর্থাৎ, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু। ওই সময়ের মধ্যে কমবেশি ৬০টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগের কাজের বরাত অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজ়োন’ পেয়েছিল বলে ইডি আধিকারিকদের জানান অয়ন। সেই সময় এক একটি পুরসভায় প্রায় ১০০ জন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার মতে ৬,০০০ নিয়োগ হয়েছিল অয়নের সংস্থার মাধ্যমে। তার মধ্যে প্রায় ৫,০০০ নিয়োগের ফলাফল ‘বিকৃত’ করা হয়েছিল বলেও মনে করছেন ইডি কর্তারা।