আজও জারি ছিল ইডির তল্লাশি
আজও জারি ছিল ইডির তল্লাশি। ইডির রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, কৈখালির এক শেয়ার ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যায়, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকরিকরা হানা দেওয়ার খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য গত বছরের এপ্রিলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিয়াই হানা দেওয়ার পর এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থতার কথা বলে বাড়ির বাইরে বেরোতে চান জীবনকৃষ্ণ। বাড়ির পিছনের শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পাঁচিল টপকে নিজের দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে আসেন বিধায়ক। তাঁর এই কাণ্ডে হকচকিয়ে যান তদন্তকারীরাও।
ঘটনা ঘটে কৈখালিতে
স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধারও করা হয়েছিল। মোবাইল থেকে অনেক তথ্যও তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে উঠে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার সকালে সেরকমই একটি ঘটনা ঘটে কৈখালিতেও। পুকুরের জলে না ফেললেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা ওই ব্যবসায়ীর আবাসনে প্রবেশ করার পর তাঁর ফোন দু’টি জানালা দিয়ে ছু়ড়ে ফেলে দেন। সঙ্গে ছুড়ে দেন একটি পাঁচশো টাকার নোটও। ফোন দু’টি পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে। তবে পরে ফোন দু’টি উদ্ধার করে ইডি।
তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, কৈখালির ওই ব্যবসায়ীর দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি সেগুলি লোপাটের চেষ্টা করা হয়। ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে থেকে ফের সক্রিয় হল ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। পরে জানা যায়, বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়েছেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।
সোমবার আইবি ব্লকের একটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন ইডি আধিকারিকেরা। এক মহিলা দরজা খুললে তদন্তকারীদের তরফে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক ব্যবসায়ীর বিষয়ে খোঁজখবর করা হয়। সেই ব্যক্তি বাড়ি নেই জেনে, ফোনেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইডি আধিকারিকেরা। পরে ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। তল্লাশির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।