আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন মামলার তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইডির দপ্তরে উপস্থিত দেব। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গরু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিনেতা দেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সংসদ সদস্যকে সকাল ১১টায় দিল্লির ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সেই মতোই ঠিক সকাল ১১ টায় ইডির দপ্তরে পৌঁছে গেলেন দেব।
তিনি ইডিকে পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন এবং যখনই তলব করা হবে তখনই ইডি-র সামনে হাজির হবেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২-এ, একই গরু পাঁচারের মামলায় নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই সূত্রে জানা যায় জেরা করার সময় একজন সাক্ষীর থেকে দেবের নাম উঠে আসে যার কারণে দেবকে ডাকা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক দের দেব জানিয়েছিল “একজন ব্যক্তিকে চিনি কি না, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমার বক্তব্য জানিয়েছি। মনে হয় আর ডাকবে না।”
২ জুন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল
এর পরে, সেই বছরেই ২২ জুন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার দেড় বছর পর আবারও দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব চলতি মাসের শুরুতে তিনটি সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবর্ষী কলেজের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। পদত্যাগের পাশাপাশি তিনি ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান এবং বীরভূম উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদও খালি করেছেন। এই সিদ্ধান্ত বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে।
এই ঘটনার পরে, সরকারি কমিটি থেকে দেবের পদত্যাগ নিয়ে বিজেপির মধ্যে জল্পনা চলছে। তবে দেবের দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য। এছাড়াও, পদত্যাগের আগে দেবকে রাজনীতিতে অসম্মান করার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা রয়েছে।
সবশেষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথোপকথনের পরে, দেবের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তার নির্বাচনী লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনাও রয়েছে। যার কারণেই তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলো ইডি। আশা করা যায় যে এই পরিস্থিতির একটি নতুন দিকনির্দেশের পাশাপাশি এই সমস্যাটি সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে।