ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড়মেয়ে এষা দেওলের বিয়ে ভাঙছে
কানাঘুষো শোনা গেলেও সত্যি আর কতক্ষন থাকে। সূত্রের খবর ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড়মেয়ে এষা দেওলের (Esha Deol) বিয়ে ভাঙছে। আর তেমনটাই ঘটল ইতিমধ্যেই। সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে নাকি বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এষা ও তাঁর স্বামী ভরত তখতানি।
২০১২ সালের জুন মাসে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক ভরত তখতানির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-হেমার বড় মেয়ে এষা দেওল। বিয়ের বছর পাঁচেক পর ২০১৭ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম হয়। দু’বছর যেতে না যেতেই তখতানি পরিবারে আগমন ঘটে আরেক নতুন সদস্যা মিরায়ার। জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে এষার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভরতের ছবি দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমাকন্যা। আর তারপর থেকেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জনের খবর প্রকাশ্যে আসে।
একটি বিবৃতিতে লেখা হয়, এষা ও ভরত লিখেছেন
একটি বিবৃতিতে লেখা হয়, এষা ও ভরত লিখেছেন, “আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।”
কিন্তু কেন হল এই বিচ্ছেদ? শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ভরত তখতানির অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাঁর সঙ্গেই নাকি বেশি সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এমনকী দুজনকে বেঙ্গালুরুর এক পেইড পার্টিতেও দেখা গিয়েছে বলে গুঞ্জন।
আবার অন্যদিকে শোনা যায় দ্বিতীয় কন্যা মীরায়ার জন্মের পর থেকেই নাকি দুজনের মধ্যে সম্পর্কে চির ধরে। ২০২০ সালে একটি বই লেখেন এষা। নাম ‘আম্মা মিয়া: স্টোরিজ়, অ্যাডভাইস অ্যান্ড রেসিপিজ়’। সেখানেই অভিনেত্রী জানান, দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর থেকেই নাকি স্বামী ভরত ‘অবহেলিত’ বোধ করতে থাকেন।
এষা তাঁর বইতে লেখেন, ‘‘দ্বিতীয় সন্তানজন্মের অল্প সময়ের মধ্যে আমি লক্ষ করি যে, ভরত আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করছে, প্রায় সারাক্ষণই বিরক্ত। যদিও এষা নিজেই জানিয়েছেন সম্পর্কের ফাঁকফোকরগুলো খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নিয়েছিলেন। তবু ফল মেলেনি। শেষমেশ বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন তাঁরা।