কলকাতা টুডে ব্যুরো: এবার বিজেপি নেতা ও সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজনৈতিক নিশানা করলেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের মন্তব্য, মিঠুন চক্রবর্তী যখন সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন, তখনও শিল্প আসেনি ।যখন তৃণমূলের এমপি হয়েছিলেন, তখনো রাজ্যে কিছু হয়নি । যা তিনি বলছেন তা স্রেফ সিনেমার ডায়লগ ।
বিজেপি সরকার এলে প্রচুর শিল্প আসবে, মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফিরহাদ বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীর যখন সুভাষ চক্রবর্তী সাথে ঘুরতো তখনও কোন শিল্প আসেনি, মিঠুন চক্রবর্তী যখন আমাদের এমপি হয়েছিল তখনও কোন শিল্প আসেনি। এখন উনি বিজেপির সাথে ঘুরছেন। সুতরাং মিঠুন চক্রবর্তী কি বলল তা দিয়ে কিছু এসে যায় না তাই ওনার সিনেমার জগতেই ওনার এই ডায়লগ গুলোর মত। বাস্তব হচ্ছে শিল্প আনতে গেলে একটা স্টেবল সরকারের দরকার। যে সরকার বন্ধ করতে দেয় না যে সরকার ধর্মঘট করতে দেয় না। এই সরকার গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দেখেছে। মমতা ব্যানার্জি এটা পারে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর বিশ্বাস রেখে বিভিন্ন সংস্থা আমাদের এখানে আসছে। যারা গুজরাটে ইনভেস্ট করেছে তারা এখানে ইনভেস্ট করতে আসছে তার কারণ এখানে শিল্প পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে সেটা তারা জানেন।”
অন্যদিকে, বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য, বিধানসভাতে ব্যক্তি আক্রমণটা রাজনীতি নয়। বিজেপির অনেক নেতার সাথে আমার সৌজন্য সাক্ষাত্কার হয়। কিন্তু আমি কখনোই সেই ব্যক্তির ওপর কোন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ প্রয়োগ করব না। বিজেপির নীতির বিরোধী হতে পারে। তবে আমি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলন নেতার সৌজন্য সাক্ষাত্কার হবে, সৌজন্যতার সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু সেটা উনি ভুলে গেছেন। বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, আলোচনা করবেন কোন সাজেশন রাখবেন, সেটাই তো রীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওতো বিরোধীদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করেন, এটাই রীতি। যখন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা করতে যান, তখন আপনারা সেটিং এর কথা বলেন আর যখন যান না তখন বাংলার ব্যাপারে কিছু বলতে গেল না বলে অভিযোগ করেন।