Home সংবাদসিটি টকস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন টাটার বিরুদ্ধে ছিল না’, বিরোধীদের কটাক্ষের পাল্টা ফিরহাদের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন টাটার বিরুদ্ধে ছিল না’, বিরোধীদের কটাক্ষের পাল্টা ফিরহাদের

২০ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় জন্মদিন। এই উপলক্ষে কেওড়াতলা শ্মশানে মূর্তিতে মাল্যদান করতে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: ২০ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় জন্মদিন। এই উপলক্ষে কেওড়াতলা শ্মশানে মূর্তিতে মাল্যদান করতে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার।

মাল্যদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার মুখে উঠে এল টাটা বিতর্কের প্রসঙ্গ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য করেছিলেন ‘সিঙ্গুর থেকে টাটা কে তৃণমূল কংগ্রেস তাড়ায়নি, তাড়িয়েছে সিপিআইএম।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য – সেরা জোকস।

এই বক্তব্যের পাল্টা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন ভুল কথা বলেননি। তার কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন টাটার বিরুদ্ধে ছিল না। তৎকালীন সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট সরকারের জমি অধিগ্রহ নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াই সংগ্রাম ছিল। ভারতবর্ষের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জোর করে পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষের জমি সম্পত্তি ও জমির অধিকার কখনো কেড়ে নেওয়া যায় না। সেটাই করতে চেয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। জোর করে জমির অধিকার হরণের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনে নেমেছিলেন। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। টাটাকে যদি কারখানার জন্য জমি দিতেই হত, তাহলে কেন সে সময় বামফ্রন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার ল্যান্ড ব্যাংক তৈরি করে টাটাকে সেখানে জমি দিল না। কেন জোর জবরদস্তি করে এক ফসলী দু ফসলী তিন ফসলি জমি মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে টাটার হাতে তুলে দেওয়া হবে?”

Related Articles

Leave a Comment