কলকাতা টুডে ব্যুরো: ৩০ অক্টোবর ছট পুজো। আর এই পুজো মূলত হয় বিভিন্ন নদীর ঘাট কিংবা জলাশয়ের ঘাটে। কলকাতার বুকে রবীন্দ্র সরোবর পূর্বে ছট পুজোর জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ অনুযায়ী রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বছরেও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। ইতিমধ্যেই সরোবরের চারিদিক বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে রবীন্দ্র সরোবরের বিভিন্ন গেটের ওপরে বেশ কয়েকটি তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিকল্প হিসেবে অনেকগুলি ঘাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাত্ ছট পুজোর জন্য রবীন্দ্র সরোবরের পরিবর্তে সেই গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। আগামী রবিবার এবং সোমবার মূলত এই দুদিন রবীন্দ্র সরোবরে সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সরোবরের দূষণ রুখতে এই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে।
<span;>এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন , ‘এখন মানুষও জানে আর কেউ রবীন্দ্র সরোবর এ যায় না। পুরসভা থেকে কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে জলাশয়ে। সেখানে চেঞ্জিং রুম থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দু’বছর ধরে কেউ আর রবীন্দ্র সরোবর সুভাষ সরোবরে যায় না, কৃত্রিম জলাশয় পুরসভা এবং কেএমডিএ করছে সবাই সেখানেই ছট পুজো করে।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশ করার জন্য মোট ১৭ টি গেট রয়েছে। সব গেট গুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও তা অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবর এই ছট পুজো করা হয়েছিল। ২০২০ তে করোনার জন্য বন্ধ ছিল সবকিছু। তবে ২০২১ সালে এই সরবরে যাতে ছট পুজো কেউ না করতে পারেন, তাঁর জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তা দেখা গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায়। চলতি বছরে তাই আগে থেকেই রবীন্দ্র সরোবরের বিভিন্ন গেটের বাইরে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।