কলকাতা টুডে ব্যুরো:অর্জুনকে খুন করা হয়েছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আন্দোলনে নামে বিজেপি। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পৌঁছে গিয়েছিলেন অর্জুনের বাড়িতে। সিবিআই তদন্তের দাবির পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এ নিয়ে রিপোর্টও তলব করে তাঁর মন্ত্রক।
তবে অর্জুনকে যে খুন করা হয়েছে এমন অকাট্য তথ্য উঠে আসেনি ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। ঝুলন্ত অবস্থায় ফাঁস লেগে মৃত্যু, অ্যান্টেমর্টেম ইন নেচার। এমনটাই ইঙ্গিত ময়নাতদন্তে। ফিরহাদ বলেন, ”অর্জুন চৌরাশিয়ার পরিবার ভালো বলেছে, কারণ লাশ ধরার রাজনীতি ঠিক নয়। অমিত শাহের ওই পদে থেকে রাজনৈতিক হত্যা বলা গুরুত্বহীনতার কাজ। এখন সেটা বুঝতে পারছেন। এখন আবার রাজ্যপালের কাছে নাটক করতে চলে গেছে বিজেপি। আসলে ওরা খবরে থাকতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন এখানে, প্রশাসন নিরপেক্ষ ও সত্যতার পথেই চলবে, আদালতেই এর যোগ্য জবাব পাবে বিজেপি।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, ”বাংলায় অনুপ্রবেশ বলে কিছু নেই, যারা এসেছিলেন তারা থাকছেন। রোজ কোনও অনুপ্রবেশ হয় না, প্রচুর কর্মচারী চলে যাচ্ছেন বাংলাদেশে। মোদি সরকার অর্থনীতি নষ্ট করে দিচ্ছে। আর বিএসএফ কার? বাংলার পুলিশের উপর বদনাম করে কী হবে, সীমান্তে সমস্যা হলে অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত।” সিএএ নিয়েও অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন কলকাতার মেয়র। তিনি বলেন, ”আবার ২৪-এ নির্বাচন আসছে, আবার বিজেপি বোকা বানাবে আবার নির্বাচন চলে গেলেই টুপ করে চলে যাবে। অমিত শাহের কথায় কেউ আর বিশ্বাস করবে না।”এ দিন সকালে ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় প্রসেনজিতের গাড়ি।
অভিনেতা বেরিয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘ও আমার অনেক দিনের বন্ধু। টানা ২ মাস মুম্বইতে ছিল, ফিরেছে। তাই সকালে দেখা করতে এসেছিল।’ একদিকে যখন সৌরভের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, তখন মেয়রের বাড়িতে কেন প্রসেনজিৎ উপস্থিত হলেন এই দুয়ের মধ্যে কি কোনও সংযোগ আছে এই প্রশ্ন উঠতেই ববি হাকিম জানান, তিনি অন্তত ৪০ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে খেতে গিয়েছেন, কিন্তু, খবর নেই। এখন অমিত শাহ এসেছেন বলে খবর হয়েছে। শাহের সাক্ষাৎকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না তিনি।