কলকাতা টুডে ব্যুরো:সকাল সকাল দুই জায়গায় ভয়ঙ্কর আগুন। পুড়ে ছাই ফ্যাক্টরি, গ্যারেজ ।রাত 1টা নাগাদ হাওড়ার ডোমজুরে 16 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বন্ধ গ্যারাজে হটাৎ আগুন লাগে।যেটা জানা গেছে যে ওই সময় পড়ার ছেলেরা যখন খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল সেই সময় প্রথম তাদের নজরে আসে দাও দাও করে জ্বলতে থাকে গ্যারেজেটি । গ্যারেজের মধ্যে যে লরি,ছোট হাতি, বাইক এবং অন্যান্য গাড়ি ছিল সব আগুন লেগে দাও দাও করে জ্বলতে থাকে।আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ছাট কাপড়ের গোডাউন ও অ্যাসিডের গোডাউনে।এই খারখানার পাশেই ঘনো বসতি পূর্ণ এলাকা সেই এলাকাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই এলাকার মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।সঙ্গে সঙ্গে তারা ডোমজুর থানায় খবর দেয়,থানা থেকে খবর দেয় দমকলে একে একে ঘটনাস্থলে দমকলের 3টে ইঞ্চিন পৌঁছায় এবং দমকল কর্মীরা ছাড়াও এলাকার বাসিন্দারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকল কর্মীদের সাথে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয় এবং তারা প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কি কারণে আগুন লাগলো এখনো স্পষ্ট নয়,যখন গ্যারেজটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানে কোনো কাজ হচ্ছিল না গ্যারেজটি বন্ধ ছিল।প্রাথমিক ভাবে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন ইলেকট্রিকাল শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে,গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন এবং এই মুহূর্তে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দমকল এবং ডোমজুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে সকাল সকাল গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর আগুন। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভোরবেলা এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হলো দমকলকর্মীদের।বহুক্ষণ আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বাড়িটির ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা।সকাল সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।ঘটনাস্থলে দমকলের 5টি ইঞ্জিন পৌঁছায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর,বাড়িতে কেউ থাকতেন না।স্পিকার তৈরির কারখানা হিসাবে বাড়িটি ব্যবহিত হত।ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে।এই আগুন যাতে পাশাপাশি বাড়িতে যেন না ছড়িয়ে পড়ে,তার জন্যই লড়াই চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।এত ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় কারখানা কিভাবে চলছিল? কেন অগ্নিনির্বাক ব্যাবস্থাও নেই সেখানে,প্রশ্ন উঠছে।