কলকাতা টুডে ব্যুরো: সময়ের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত কেবল ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয়েছে একাধিক সাধারণ নাগরিকের। বর্তমানে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪১ জন। গত এক দশকে এত বড় বিপর্যয় দেখেনি গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগের ও পরের মুহূর্তের ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করছে। ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন আম জনতা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য জলের মধ্যে ডুবু ডুবু অবস্থায় ব্রিজের পাটাতন, কেবল ধরেই খাবি খাচ্ছিলেন মানুষেরা।
গুজরাতের সেতু বিপর্যযের ঘটনায় সমবেদনা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধি উদ্ধার কাজে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করার জন্য রাজ্যের সমস্ত দলীয় কর্মীদের আবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
পাশাপাশি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “গুজরাতের মোরবির ট্র্যাজেডি আমাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাসম্ভভ সাহায্য করা হবে।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালব লেন, “খুবই দুঃখজনক খবর এসেছে গুজরাত থেকে। মোরবিতে সেতু ভেঙে অনেক মানুষ নদীতে পড়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আমি সবার মঙ্গল কামনা করছি।”
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে শতাব্দী প্রাচীন একটি ঝুলন্ত সেতু ধসে প্রায় একশো জনের মৃত্যু হয় (শেষ পাওয়া খবকর অনুযায়ী)। এবার সেই সেতু নিয়েই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেতুটি পুনরায় চালু করার আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিটনেস শংসাপত্র নেওয়া হয়নি, জানালেন স্থানীয় পুরসভার প্রধান।