মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক তৎপরতা
পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বছরও মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে কেউ গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। আবার কেউ পরীক্ষার্থীদের হাতে উপহার হিসেবে কলম তুলেছিলেন। কোথাও অভিভাবকদের বসার জন্য ছাউনির বন্দোবস্ত করা হল। আর এ সব করতে গিয়ে কোথাও লঙ্ঘন করা হল ১৪৪ ধারও।
সূত্রের খবর , পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথে লোক জমায়েত নিয়ে অভিযোগ এসেছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলার নেতাদের দিন কয়েক আগে কালীঘাটের ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য শিবির করার বিষয়টি উঠে আসে। রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে এই মুহূর্তে খারাপ পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতি। তা সত্ত্বেও এ দিন জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র জনসংযোগে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। কাঁথির নামাল কালীপ্রসাদ বিদ্যাপীঠের সামনে তৃণমূলের তরফে পরীক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ ফুল, নতুন কলম আর জলের বোতল তুলে দেওয়া হয়। সেখানে হাজির ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পশ্চিম বাড় পঞ্চায়েতের প্রধান জাহেরুন বিবি।
জেলায় এ বার ১১০টি পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ২২১ জন। প্রথম দিন পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হলেও এ দিন সকালে তমলুক শহর, তমলুক ব্লক ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের ভিড় করতে দেখা গিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র-সংলগ্ন ১০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু এ দিন পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর নামে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পুলিশের সামনেই গোলাপ ফুল, কলম, জলের বোতল প্রভৃতি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন।