‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাঠানো হল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে
এবার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাঠানো হল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। পাশাপাশি পাঠানো হল পাঁচটি রেকর্ডিং ক্লিপিংও। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই রেকর্ডিং ক্লিপিংগুলি পাঠানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।
সাড়ে চার মাস হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । ‘গুরুতর’ অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে এসএসকেএমে ভর্তি করতে হয়। হাসপাতাল তাঁকে ছুটি দিতে পারছে না। এমনকি, জোকার ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারেরা আপত্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ ইডির।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন
সম্প্রতি বিচারপতি সিংহ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন, সে দিন রাতের মধ্যেই ‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে হবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে তার কঠিন সাজা হতে পারে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরে সেই রাতেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বারবার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘কাকু’, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্ত ও সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সেখান থেকে একাধিক তথ্য সংরহ করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে শুরু করে, সাধারণ মেসেজ এবং ভয়েস কল রেকর্ডিং ইত্যাদি। তদন্তকারীদের দাবি, এ ছাড়াও ‘কাকু’র সঙ্গে অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’ কয়েকজনের কথাবার্তার ভয়েস কল রেকর্ডিংও পাওয়া গিয়েছিল। যা আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে।