কলকাতা টুডে ব্যুরো: ১৩ অক্টোবর, কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের মৃত্যুদিন। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে কিশোর কুমার মানে আসলে একজন কিংবদন্তি।টানা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের মনে বিরাজ করেছেন তিনি। আসলে কিশোর এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে নিয়ে একদিকে যেমন বলার যথাযথ বাক্য থাকে না আবার অন্যদিকে তাকে নিয়ে বলতে বসলে বলা যেন শেষ হবে না।
বলাই হয় তাঁকে ভার্সাটাইল জিনিয়াস! কথাটা যদি শুধু গানের দিক থেকে ধরতে হয়, তা হলেও খেটে যায়। মজার গান, মনখারাপের গান, রোম্যান্টিক গান, রাগপ্রধান গান, হুল্লোড়ের গান- দীর্ঘ কেরিয়ারে সবই গেয়েছেন কিশোর কুমার। আবার যদি আক্ষরিক অর্থেই ধরতে হয় প্রতিভার বহুমুখিতার কথা, সে ক্ষেত্রেও তকমাটা একেবারে জুতসই কিশোর কুমারের পক্ষে। গায়ক তো বটেই, পাশাপাশি অভিনয়, সঙ্গীত পরিচালনা, ছায়াছবি পরিচালনা, ছায়াছবি প্রযোজনা, চিত্রনাট্য লেখা- সব দিক থেকেই ভারতীয় চলচ্চিত্রের জগৎ পেয়েছিল চিরকিশোর প্রতিভার স্পর্শ!
১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে কিশোর কুমার আমাদের চিরবিদায় জানালেও ভক্তরা তাঁকে বিদায় দেননি। তাঁদের মনে আজও যতটা না বেঁচে রয়েছেন নায়ক কিশোর কুমার, তার চেয়ে ঢের বেশি করে জেগে আছে গায়ক কিশোর কুমারের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কণ্ঠস্বর। সত্যি বলতে কী, মূলত এই গানই ছিল কিশোর কুমারের প্রধান পরিচয়। মৃত্যুর আগের দিনেও তো তিনি বাপ্পি লাহিড়ির সুরে আশা ভোঁসলের সঙ্গে গান রেকর্ড করেছিলেন। এতটাই সক্রিয় ছিল তাঁর প্রতিভার এই দিকটি! মৃত্যুর এত বছর পরেও এতটুকু জনপ্রিয়তা কমেনি গায়ক কিশোর কুমারের। প্রয়াণ দিবসে তাঁরই গাওয়া সে রকম কিছু অনবদ্য গানের লিঙ্ক দেওয়া হল পাঠকদের জন্য।