Home সংবাদসিটি টকস লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যাস্ত বঙ্গবাসী, পুজোর বাজারে পকেটে ছ্যাঁকা আমজনতার

লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যাস্ত বঙ্গবাসী, পুজোর বাজারে পকেটে ছ্যাঁকা আমজনতার

দুর্গাপুজোয় উত্‍সবের ব্যস্ততার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার পুজোয় ব্যাস্ত বঙ্গবাসী৷ রবিবার বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: দুর্গাপুজোয় উত্‍সবের ব্যস্ততার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার পুজোয় ব্যাস্ত বঙ্গবাসী৷ রবিবার বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ধন-সম্পদের দেবীকে তুষ্ট করতে জোরকদমে তোড়জোড়৷ দুর্দশার মেঘ কাটিয়ে মা লক্ষ্মী কি মুখ তুলে চাইবেন? আগুন বাজার৷ সাধারণের মুখ ভার৷ তারই মাঝে শঙ্খধ্বনি, আলপনায় আন্তরিকতা৷ রীতি মেনে আরাধনা৷

কোজাগরী শব্দের অর্থ কে জেগে আছে? রাতে ধনদেবীর আরাধনা করাই চিরাচরিত রীতি৷ গৃহিণীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন বিশেষ প্রয়োজন। ফল-মূলের পাশাপাশি চিড়ে নারকেল ছাড়া লক্ষ্মীপুজো ভাবাই যায় না। একে বলে চিপিটক৷ লক্ষ্মীর আরাধনা শেষে সারারাত জেগে পাশা খেলার রীতিও বহুল প্রচলিত। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘এসো মা লক্ষ্মী, বোসো ঘরে’।

ধন-সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষী। তাই তাঁকে খুশি করতে কোনও খামতি রাখছেন না আপামর বঙ্গবাসী। যে যাঁর সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব বাজার করছেন। তবে বাজারে এসে কিছুটা হলেও পকেটে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। কারণ, অগ্নিমূল্য ফল-ফুলের দাম। এই চড়া দামের ছবি শুধু কলকাতাতেই নয়। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই বাজারের ছবিটা একইরকম। শিলিগুড়ি বাজারেও আকাশছোঁয়া দাম ফুল-ফল সব কিছুরই। ক্রেতারা বলছেন, “সাংঘাতিক দাম।” তবে দাম বেশি থাকলেও ক্রেতারা নিজেদের কেনাকাটিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না। অর্থের দেবীকে তুষ্ট করতে, যে যাঁর নিজের সাধ্যমতো বাজার করছেন। লক্ষ্মীপুজো তো আর রোজ রোজ আসে না, তাই ফল-ফুলের চড়া দাম থাকলেও একপ্রকার মানিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

Related Articles

Leave a Comment