গঙ্গাসাগরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখান থেকেই সরকারি আমলাদের উদ্দেশ্যে একাধিক বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আমলাদের দেখিয়ে বললেন, ‘‘৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেই যে কাউকে বিদায় দিতে হবে, তা রাজ্য সরকার বিশ্বাস করে না। বরং অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই, সরকারি মঞ্চ থেকেই কি দলকে উদ্দেশ্য করে কথা বললেন মমতা ?
ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী
গঙ্গাসাগরে পৌঁছে একাধিক সরকারি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা অর্থ উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যয়। তাঁদের কথা বলতে গিয়েই মমতা বলেন, ‘‘আমরা কিন্তু যাঁরা যোগ্য লোক তাঁদের ৬০ বছরে বিদায় দিই না। আমরা তাঁদের কাজকর্ম, পুরো অভিজ্ঞতা নিয়ে পুরো কাজে লাগাই।’’ তার পরেই মমতা বলেন, ‘‘একটা বিরল ব্যাপার হয়েছে।’’ পাশে দাঁড়ানো বর্তমান মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিককে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এক সঙ্গে তিন জন কাজ করছেন। দু’জন প্রাক্তন, এক জন বর্তমান মুখ্যসচিব।’’
আমাদের মনে রাখা উচিত,অভিষেক আগেই জানিয়েছিলেন, তার মতে রাজনীতিতেও অবসরের বয়স থাকা উচিত। তার পর মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘বয়স আবার কী! মনের বয়সটাই আসল বয়স।’’ এই বক্তব্য নিয়ে শাসকদলের মধ্যে একাধিক মত শোনা গিয়েছিল। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে শাসকদলে নবীন-প্রবীণ বিতর্ক নতুন মাত্রা এনে দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমলাদের দেখিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর কাছে প্রবীণ তথা অভিজ্ঞদের প্রাধান্য প্রায় একই
রবিবার ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে অভিষেক ফের তারুণ্যের পক্ষে সওয়াল করেন। সাংসদ বলেন, ‘‘আমি এখন যে কাজ করতে পারছি, তা কি ৭০ বছর হলে করতে পারব?’’ ঠিক তার পরের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমলাদের দেখিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর কাছে প্রবীণ তথা অভিজ্ঞদের প্রাধান্য প্রায় একই। যা তিনি কাজে লাগাতে চান। সেই কারণে অবসরের পরেও ফের অভিজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।