তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী
তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর ইস্তফা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। বৃহস্পতিবার তিনি বিধানসভায় এসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন। মিমি বলেন, ”রাজনীতি আমার জন্য নয়, প্রার্থী হতে চাই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে লোকসভার স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠাব।” এটি নিতান্তই মিমির ‘ব্যক্তিগত বিষয়’ বলেও দলনেত্রীর কোর্টেই বল ঠেললেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বললেন, নেত্রী বিষয়টি দেখছেন। তবে অন্যান্য সেলিব্রিটি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিমির তুলনাও করলেন কুণাল ঘোষ। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে মিমি বলেন, “রাজনীতি আমার জন্য নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে? আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন। আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হলো?”
বৈঠকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ
এনিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ”লোকসভার মেয়াদ শেষের পর কেউ যদি যদি ইস্তফা দেয়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, নেত্রী দেখছেন। যেখানে ৫ বছর শেষে লোকসভার অধিবেশনও শেষ, সাংসদ পদের সমস্ত টাকা কাজে লাগানো শেষ, সমস্ত কমিটির মিটিং শেষ, তার পর যদি কেউ পদ ছাড়তে চান, তাহলে কিচু বলার নেই। আবারও বলছি, বিষয়টি আমাদের দলনেত্রী দেখছেন।”
পাশাপাশি কুণাল ঘোষের কথায়, ”হয়ত তাঁর নিজস্ব পেশায় কাজ আরও বেড়েছে। অথবা হয়ত এতদিন ধরে রাজনৈতিক কাজ করতে করতে ক্লান্তি লাগছে। তাই রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন।”