ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার শুনানিতে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতেই হবে এমনটাই জানাল আলিপুর জজ কোর্ট
এবার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার শুনানিতে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতেই হবে এমনটাই জানাল আলিপুর জজ কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশে ‘ধাক্কা’ খেলেন তৃণমূলের সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের বিচারক জানান, এই মামলার শুনানিতে কয়েকদিন নুসরতকে হাজিরা দিতেই হবে। এর আগে আলিপুর আদালতে সাংসদের আবেদন করেছিল, তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, আইনজীবী মারফত সমস্ত নথি পাঠাবেন। তা যেন গ্রহণ করে আদালত। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে নুসরত আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হন। এবার তাতেও ধাক্কা সাংসদের।
আলিপুর জজ কোর্টের বিচারক জানান, শুনানির শুরুতে তাঁকে কয়েকদিন আদালতের সশরীরে থাকতেই হবে। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি নুসরতের।
তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন
নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে ‘সেভেন্থ সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন নুসরত। আর তার হিসেব তিনি দেননি। সেই টাকা তিনি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত বছর গড়িয়াহাট থানায় (Gariahat PS) নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রতিশ্রুতি পাওয়া ব্যক্তিদের তরফে । এর পর বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে তাঁরা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডি দপ্তরে তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জানান।
পরের দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বসিরহাটের সাংসদ জানান। তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। এছাড়া ওই সংস্থার ডিরেক্টর (Director) পদে তিনি খুব কম সময়ের জন্যই ছিলেন। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। কিন্তু আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় এবার আলিপুর জজ কোর্টে ‘ধাক্কা’ খেতে হল তাঁকে।