Home সংবাদসিটি টকস গুজরাটিদের পর এবার বাঙালিরও ১০ হাজার কোটির জালিয়াতি

গুজরাটিদের পর এবার বাঙালিরও ১০ হাজার কোটির জালিয়াতি

by Soumadeep Bagchi

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার, পিওর বাঙালি কোন সন্দেহ নেই…আর আজ সেই বাঙালির জন্য একটু মাথা উচুঁ করে চলতে পারছি, গর্বে বুক ফুলে উঠল…আমরাও পারি…আমরাও পারি…
তা কি করেছেন এই পিকে হালদার….?

 

 

ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ভাবে গায়েব করে দিয়েছেন, তাও আবার বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে…
বাঙালির ব্যাঙ্ক লুঠ..!! ভাবতে পারছেন…??
যা আজ পর্যন্ত গুজরাতি-দের একচেটিয়া ছিল..!!

 

 

এতদিন শুনতাম ভারতের ব্যাঙ্ক লুঠে বিদেশে পালিয়েছে। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, আরও কত নাম….ব্যাঙ্ক লুঠ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়াটা যেন জলভাত করে ফেলেছে গুজরাতিরা…
সেখানে কোন বাঙালি ব্যাঙ্ক লুঠ করছে, ভাবাই যায় না…ব্যাঙ্ক লুঠ, তাও আবার বিদেশের ব্যাঙ্ক লুঠ করে এই বাংলায় পালিয়ে এসেছে কয়েকজন বাঙালি, স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারি না…

 

 

সেই অসম্ভব কাজটা সম্ভব করে বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করেছে, প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার ও তার দলবল। কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরুপে অভিযুক্ত বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার। যিনি এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের বাসিন্দা….
হলই বা বাংলাদেশি ব্যাঙ্ক, বাম-তৃণমূল যতই তাদের জামাই আদরে ভোট দেবার জন্য ডেকে আনুক…
আলটিমেটলি ওটা বিদেশ তো…ফরেন…

 

 

সেই ফরেনের ব্যাঙ্ক লুঠ করে, লুটেরা-দের সমাজে বাঙালির নাম সোনার অক্ষরে লিখে দিয়েছেন হালদার বাবু। হালদার-বাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও ভাই। ছিলেন আরও এক বাঙালি সুকুমার মৃধা….

 

 

অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সুকুমারকে অবশ্য আগেই গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। জানা গিয়েছে, সুকুমার মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালা কারবারে যুক্ত। তাঁর মাধ্যমেই এই দেশে টাকা সরায় পিকে হালদার।
প্রায় ৫০০ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, টাকা পাচার, একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন করার মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদার সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল আদালতে।

 

 

 

পিকে হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি করে পালিয়ে আসে ভারতে, এই বাংলায়… গুজরাতি-দের মত ভারতে দুর্নীতি করে বিদেশে পালায়নি….
ভারতের নাগরিকত্ব নিতে আর কতক্ষন…ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বানানো তো বাঁহাতের খেল…
বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও সাহায্যের অনুরোধ পেয়েই তল্লাশিতে নামে ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শেষ পর্যন্ত, ভারতের ইডি অফিসাররা উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে হালদার-বাবুকে গ্রেফতার করেছে। এই কাণ্ডে জড়িত আরও ১৪ জন বাঙালি…

 

আরও পড়ুনঃ শুধুমাত্র বাঙাল ও বাঙালিই এরকম পাগল হয়…

 

 

ও হ্যাঁ, এদের সবাই রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ড জোগাড় করেছিলেন আর এখন পরিপূর্ণ ভারতীয় নাগরিক। বাংলা বিধানসভা ভোটে বুক ফুলিয়ে ভোটও দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, লাল আমলে এই কার্ড সংগ্রহ করতে ১০০-২০০ টাকা লাগত, নীল আমলে ১০০০-২০০০ ফেললেই যে কেউ ভারতের যেকোন কার্ড পেতে পারে…সে যাই হোক….দেখিয়ে দিল বাঙালি…

Related Articles