ডিআইওএফআই ১৪৪ ধারা উল্লেখ করে গ্রামে একজন সিপিআই(এম) নেতাকে আটক করেছে
সন্দেশখালীতে (Sandeshkhali) মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Minakshi Mukherjee) পথে বাঁধা দিয়েছেল পুলিশ। ডিআইওএফআই ১৪৪ ধারা উল্লেখ করে গ্রামে একজন সিপিআই(এম) নেতাকে আটক করেছে। তবে, শনিবার সকাল থেকে, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু গ্রামে সফর করছেন। তারা তাদের গতিবিধি নিয়ে ডিআইওএফআই এর নেতাকে প্রশ্ন করে। শনিবার সকালে, মুখ ঢেকে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ডিআইওএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সন্দেশখালিতে পৌঁছান।
সে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সেখানকার মানুষদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে । সন্দেশখালির ঘটনায়, তিনি সিপিআই(এম) এর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদারের বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন৷ সে এলাকায় ঢুকলে মধ্যপাড়ায় মিনাক্ষীকে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি মহিলা কর্মকর্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের কথা উল্লেখ করে সে বলে, “আপনি বেআইনি কাজ করছেন। আমার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে? কেন আমাকে যেতে দেবেন না?” গ্রামে একা যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কিছু বিতর্কের পর মিনাক্ষী আবার টোটোতে বসে পড়েন।
সন্দেশখালি পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভোমিক ও সুজিত বসু
এদিকে শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সন্দেশখালি পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভোমিক ও সুজিত বসু। পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়ে মিনাক্ষী দুই মন্ত্রীকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে “শাহজাহানের লোক” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “পার্থ, সুজিত শাহজাহানের দলের লোক। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে এসেছেন। যখন জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? ‘দুয়ারে সরকার’ কোথায় ছিল?’’
মিনাক্ষী আরও বলেন, “‘১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমরা যেতে চাইছি। যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাই। মানুষ জমি ফেরত চায়। পুলিশের শাস্তি চাই। পুলিশ মানুষের কথা শোনে না। আমরা সে বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তা বার করে দিক।। আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি। জমিতে বেসরকারি জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তা উপেক্ষা করে।”
তারা থানায় যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সন্দেশখালী ঘাটের কাছে বসে পরে তারা । উল্লেখ্য, মিনাক্ষী ও তার দল এর আগে সন্দেশখালী যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছিল।