ট্রেন দিয়ে সরাসরি রংপো পৌঁছে যাওয়া যাবে
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সিকিমে বাস বা গাড়ি ভাড়া নিতে হবে না। বরং, ট্রেন দিয়ে সরাসরি রংপো পৌঁছে যাওয়া যাবে, এমনকি চিন সীমান্তের কাছে নাথু লা রেলের দ্বারাও যাতায়াতে হয়েছে যথেষ্ট সুবিধে। এই নতুন রেলপথ কারণে সিকিমে পৌঁছতে এটি সহায়ক হতে চলেছে, যেটি ভবিষ্যতে বাঙালি পর্যটকদের কাছে খুবই পছন্দের জায়গার মধ্যে একটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিকিমের প্রথম রেলস্টেশনটি রংপোয় তৈরি হতে চলেছে এবং এই প্রকল্পের জন্য ২০২২ সালের বাজেটে ১১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেলপথে একটি সুস্থ যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি হবে, যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে সরাসরি যাত্রা করতে সাহায্য করতে পারে।
সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা
এই প্রকল্পের কারণে সেবক স্টেশন হতে এবং সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। এই রেললাইনে সম্পূর্ণ ১৪টি সুড়ঙ্গ, ১৩টি বড় সেতু, এবং একাধিক ছোট সেতু থাকবে। মার্চ মাসে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথে সেবক-রংপো রেললাইনে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২৩ হাজার কিলোগ্রাম ওজন নিতে সক্ষম লাইনটি তৈরি হবে।
সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সরাসরি যেতে এটি একটি সুবিধা হতে পারে
সিকিমের রেলপথ প্রকল্পের এই নতুন ধারা বাঙালি পর্যটকদের জন্য একটি নতুন পছন্দস্থান হতে পারে এবং সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সরাসরি যেতে এটি একটি সুবিধা হতে পারে। রেল সূত্রে খবর, তৃতীয় ধাপে গ্যাংটক থেকে না থুলা পর্যন্ত রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেলে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে রংপো-গ্যাংটক মাধ্যমে, এবং এখন পরবর্তী ধাপে নাথু লা পর্যন্ত সমীক্ষা শুরু হবে।
চিন সীমান্ত পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের রাস্তা এবং রেলপথের সম্প্রসারণে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনিবেশ রয়েছে। সেবক-রংপো রেল প্রকল্প হলো এই প্রসারণের প্রথম ধাপ, এবং এবার নাথু লা পর্যন্ত রেলপথ তাড়াতাড়ি শেষ করার কথা চিন্তা হচ্ছে। এটি সেনাবাহিনী এবং পর্যটকদের জন্য সুবিধা সাধারিত করতে সহায়ক হবে।