জুতোর দোকানে সেলস অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে কাজ করা একটা মেয়ে কেন বিগত পাঁচ বছর কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পার্টনার? অদ্ভুত! এ কেমন কথা? ইরিনা শায়েক তো অভিনেত্রী ও সুপারমডেল ছিলেন, ইউএসএ-র জনপ্রিয় ম্যাগাজিন স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের বার্ষিক সুইমস্যুট ইস্যুতে আসা প্রথম রুশ মডেল। ফ্যাশন দুনিয়ার সব আলো ছিল তাঁর দিকে! রোনাল্ডোর এ কী চয়েস? অনেকের চোখ কপালে উঠেছিল! কোথায় ইরিনা আর কোথায় জর্জিনা! মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি রোনাল্ডোর!
আসলে ইরিনা বরাবর রোনাল্ডোর আকাশ ছোঁওয়া স্টারডমকে ভালবেসেছিলেন, মানুষ রোনাল্ডোকে একেবারেই নয়। লোক দেখানো।সে জানতেন যে, রোনাল্ডোর সঙ্গে থাকলে, তাঁকে আর জীবনে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। অর্থ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, যশ, তাঁর গায়ে লেবেলের মতো সেঁটে থাকবে। তাই রোনাল্ডোর গায়ে লেগে থাকতেন। রোনাল্ডোর সবটা বুঝতে একটু বেশি সময়ই লেগেছিল। পাঁচটা বছর। কিংবা ইরিনাকে একটু বেশি সময় দিয়েছিলেন তিনি।
রোনাল্ডো যাকে বেছে নিয়েছেন, সে শুধু রোনাল্ডোকে নয়, তাঁর পরিবারকেও আপন করে নিয়েছেন। রোনাল্ডোর জন্য হাসছেন, কাঁদছেন। গুগল শত চেষ্টা করেও এমন কোনও ছবি পাবে না, যেখানে রোনাল্ডোর আনন্দ বা দুঃখে ইরিনার কান্নাভেজা চোখ।
ইরিনার নিজের যোগ্যতায় অর্জন করা পয়সা তো কম ছিল না।
মনে পড়ে না, রোনাল্ডোকে খবরে আসার মতো কোনও উপহার দিয়েছিলেন বলে। অথচ গর্ভবতী জর্জিনা তাঁর পার্টনারকে ১.৫ কোটির ক্যাডিলাক দিয়েছেন ৩৭ বছরের জন্মদিনে। রোনাল্ডো রোলস রয়েস ভালবাসেন। যেহেতু জর্জিনা দিয়েছে, মানুষটা ওটা নিয়েই প্র্যাকটিসে যান, গ্যারেজের ১৭-২০টা গাড়ি ফেলে। তার মধ্যে দু’টো রোলস। রোনাল্ডো বলছেন, ফ্যামিলিকে ভালবাসুন। তাঁদের যত্ন নিন। এর চেয়ে বড় উপহার হয় না। কে বলছেন কথাটা, যার মা তাঁকে পৃথিবীতে আনতে চায়নি, যাঁর বাবা মদ খেয়ে মরে গেলেন! সেই লোকটা? জর্জিনা এখন রোনাল্ডোর পরিবার।
ইরিনা-রোনাল্ডোর এক বছরের ফারাক ছিল, জর্জিনার সঙ্গে ৯ বছরের। রোনাল্ডো খেলাটা খুব ভাল বোঝেন, আর জীবনটাও বোঝেন হাড়ে হাড়ে। তাই জানেন, জর্জিনার মতো হয়তো আর কেউ হবে না কখনও। খুব ভুল না চিনে থাকলে রোনাল্ডো-জর্জিনার সঙ্গেই থেকে যাবেন শেষ পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃঅর্জুনের ময়নাতদন্ত হবে কমান্ড হসপিটালে, নির্দেশ দিল আদালত
রোনাল্ডোর নিখাদ ভালবাসার অভাব ছিল বড্ড। শুধু ওটারই। পেয়ে গেছেন এবার। জুতোর দোকানে কাজ করা মেয়েটার সঙ্গে রাস্তা ঝাড় দেওয়া ছেলেটার সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে মেয়েটা এখন মডেল ব্যবসায়ী ও ডান্সার, আগের থেকে পাঁচশ গুণ গ্ল্যামারস। ইরিনার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্স জর্জিনার হাফ। ইরিনার কথা আজ কেউ বলে না।