সল্টলেক
বর্ধমান স্টেশনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি এবার তবে সল্টলেকেও, প্রশ্ন উঠছে। একবার চাঙড় খসে পুরকর্ত্রীর গাড়ির সামনে ভেঙে পড়েছিল। সল্টলেকের ক্ষয়প্রাপ্ত জলাধারগুলি কবে সংস্কার করা হবে? অন্যদিকে, বিধাননগর পুরসভার দাবি, দুদিন আগে অমৃত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে ওই জলাধারগুলির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
বিধাননগরের পুরসভা
বিধাননগরের পুরসভা সূত্রের দাবি, সল্টলেক তৈরি হওয়ার পর থেকেই জলাধারগুলি আমূল হয়ে গিয়েছে।সংস্কার কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে অসংখ্য জলাধার ধসে পড়েছে এবং লোহার রড উঠে এসেছে। এর জেরে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলেও গুজব রয়েছে।সেই জলাধারগুলির নীচে পাম্প হাউসের অবস্থান, যা সল্টলেকে জল সরবরাহ করে।আর সেখানেই কর্মীরা কাজে নিযুক্ত আছেন। সেই কারণেই সেই পুরনো জলাধারগুলির নীচে ক্রমাগত পায়ের ছাপ রয়েছে। সেই জলাধারগুলির নীচে থাকা পাম্প হাউসের যাত্রীরাও একই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন৷
জলাধারের অবনতি
পৌরসভার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে ১৫টি জলাধার সংস্কার করা হবে। যেগুলির দ্রুত ক্রমানুসারে সংস্কারের প্রয়োজন: জলাধার ৩, ৭, ১০, ১১, এবং ১৩৷ বেশ কয়েকটি জলাধার রয়েছে যা পৌর কর্তৃপক্ষের জন্য বিশেষ উদ্বেগের বিষয়, জলাধার ৩, ৭, ১০ এবং ১১৷ কয়েকটি জলাধারের অবনতি হওয়া সত্ত্বেওবিভিন্ন স্থানে লোহা পাওয়া গেছে। পিএনটি কোয়ার্টার্সের মধ্যে জলাধার নং ৩- এর অবস্থা খুবই শোচনীয়। সেখানে পাম্প হাউসে ৭ নম্বর রিজার্ভারে আতঙ্কিত কর্মচারীরা। তাদের দাবি, গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ওপর থেকে পড়ে গেছে।
বিধাননগর পৌর জল সরবরাহ বিভাগ
বিধাননগর পৌর জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ তুলসী সিংহরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জলাধার সংস্কার করার চেষ্টা করছেন। তুলসীর বক্তব্য অনুযায়ী, “শুধু ট্যাঙ্কই নয়, তার ভিতরের পাম্প এবং পাম্প হাউসগুলিও সংস্কার করা হবে।” বড় আকারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, আগামী বিশ বছরের কথা, বাস্তবায়নের পর আর চিন্তার দরকার নেই। পৌরসভা সূত্রের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে জলাধারগুলির রক্ষণাবেক্ষণ বাস্তবসম্মতভাবে করা হয়নি। এর গভীর তাৎপর্য ছিল। আধিকারিকদের মতে, পৌরসভার কাছে প্রতিটি জলাধারের পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাব রয়েছে৷ ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি ডিপিআর তৈরি করে অমৃতে পাঠায়। এখন কতদিনে কাজ শুরু হবে তা হিসেব করছে বিধাননগর পুরসভা।