কলকাতা টুডে ব্যুরো: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান, তার আগেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাজ্যের একাধিক জেলায় বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের নেতৃত্বে চলছে প্রচার। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তরফে সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা ও গরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে একাধিক জায়গা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নিয়ে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করলেন শমীক ভট্টাচার্য, “চারিদিকে আওয়াজ উঠেছে ‘চোর ধরো জেলে ভরো’ আমরা বলছি ‘চোর ধরতে আওয়াজ তোলো, ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্নে চলো’। এই যে সমস্যা এ শুধু কোনো রাজনৈতিক দল, সরকার পরিচালনা কিংবা তার চলার পথের সমস্যা নয়। এই সমস্যা বর্তমান প্রজন্মের সমস্যা। তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়ির ছেলেটাও প্রতারিত হয়েছেন। যারা বামপন্থী আছেন তাদের বাড়ির ছেলেরাও প্রতারিত হয়েছেন। ভবিষ্যত দুটো প্রনজন্মকে এরা নষ্ট করে দিয়েছে। সেই জন্য সমস্ত মানুষকে বলছি আওয়াজ তুলতে।”
তিনি আরও বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারে সেটা BJP, বামেরা নয়, এটা মানুষ জানেন। সেই জন্য বামপন্থীও যারা আছেন তারাও বুঝে গেছেন আগে এই সরকারটাকে যেতে হবে, তারপর মেহেনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেওয়া যাবে।”
তিনি এদিন সরকারের পাশাপাশি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ কোনো স্বশাসিত সংস্থা নয়, এখানে তৃণমূল পরিচালিত হচ্চে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা। এখানে পুলিশ তৃণমূল CID সব মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। সুতরাং দেড় বছর আগে পার্কস্ট্রীট থানা কিছু করে নি, তারপর গোয়েন্দা প্রধান কে জানানো সত্ত্বেও সেখানে কিছু হয় নি তারপর তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে এই সংস্থার সঙ্গে শাসক দলের যোগ আছে। একশো মিটারের মধ্যে মেটিয়াবুরুজ থানা অথচ পুলিশ কিছু যানে না। 17 কোটি টাকা খাটের তলায় রাখা আছে। তাৎক্ষণিক মন্ত্রী প্রতিক্রিয়া দিলেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে। আবার পরবর্তী কালে নিজের দেওয়া বিবৃতি থেকে একশো আসি ডিগ্রি ঘুরে চলে এলেন। তো স্বাভাবিক ভাবেই প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পৃক্ত আছে।”
Topics
Samik Bhattcharya BJP TMC Administration Kolkata