সন্দেশখালী ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে
জ্বলছে সন্দেশখালী ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে এই ঘটনার নিপীড়নের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে সেখানকার মহিলারা। শাসক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে উত্তেজনা এবং দোষারোপের খেলার মধ্যে, বসিরহাটের সংসদ সদস্য নুসরত জাহান নীরব রয়েছেন। সন্দেশখালি ঘটনা শুরু হওয়ার ৩৭ দিন পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় কোনও উপস্থিতি দেখাননি, যা নিয়ে প্রশ্ন ও তুলছে সেখানকার স্থানীয়রা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের নারীরা লাঠিসোঁটা ও ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করলে সন্দেশখালীর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একই দিনে ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে ‘রোজ ডে’ উদযাপন করলেন তারকা এমপি নুসরাত। তিনি ৯ফেব্রুয়ারী ‘চকলেট ডে’ এবং ১০ ফেব্রুয়ারী ‘টেডি ডে’-এর জন্য ছবি পোস্ট করতে থাকেন, টেডি বিয়ারের ছবির সাথে যশ দাশগুপ্তর ও ছবি ছিল। ‘প্রতিশ্রুতি দিবস’ আসার সঙ্গে সঙ্গে নুসরত তাদের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সন্দেশখালির বাসিন্দারা।
নুসরতের অনুপস্থিতির অভিযোগ নতুন নয়
নুসরতের অনুপস্থিতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে “নিখোঁজ ছিলেন সাংসদ” যার ফলে বসিরহাট লোকসভার বিস্তৃত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে হাড়োয়া বিধানসভার চম্পাতলাও রয়েছে। হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা তাকে ভোট দিয়েছি। সে কেন আসছেনা?যখন তাকে প্রয়োজন তখন আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।সে আমাদের ভোট নিয়ে খেলা খেলছে এলাকায় এমপির উপস্থিতি না থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। অন্য একজন মহিলা আবার বলেছেন “এখন মা বোনেরা ক্ষিপ্ত। আর উনি টিকটক নিয়ে ব্যস্ত।” সূত্রের খবর সাংসদ নুসরতের এই অনুপস্থিতি নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ তার ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “এমপি কোথায়,এমপি কোথায় ঢুন্ডু কাহা-কাহা, সন্দেশখালি জ্বলছে যখন কাহা নুসরত জাহান?”