সানজিদা আখতার এবার ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব মিলতেই রাজী হয়ে যান
প্রস্তাব অনেক ছিল কিন্তু রাজী ছিলেন না কোনটাতেই । তবে এবার মিলল সিলমোহর। সানজিদা আখতার এ বার ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব মিলতেই রাজী হয়ে যান তিনি। তাতেও ছিল জটিলতা। একটি সাক্ষাৎকারে সানজিদা বলেছিলেন, ‘ভিসা আবেদন করেছি, এখন দেখা যাক কতদিনেই পাই।’ গত কাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দেওয়ারই মতোই পোস্ট করেন সানজিদা। পাশাপাশি দুটি ছবি। একটিতে লাল পোশাক পরা, অন্যটি হলুদ শাড়িতে। সঙ্গে লেখা লাল-হলুদ।
কলকাতা ময়দানে খুব শীঘ্রই ইতিহাস গড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের উইঙ্গার সানজিদা আখতারতে সই করিয়েছে লাল-হলুদ। ময়দানে বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারই খেলে গিয়েছেন। এই প্রথম ময়দানে কোনও বিদেশি মহিলা ফুটবলার, ইস্টবেঙ্গল নজির গড়তে চলেছে। সই হয়েছে আগেই। কিন্তু তিনি কবে কলকাতায় আসছেন, সেই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।
তিনি আসতে পারছিলেন না কিন্তু এবার তার হ্যাঁ শোনা গেল খেলোয়ার তরফে
কিছু সমস্যার কারণে তিনি আসতে পারছিলেন না কিন্তু এবার তার হ্যাঁ শোনা গেল খেলোয়ার তরফে । এর আগেও ভারতের বেশ কিছু ক্লাব থেকে প্রস্তাব ছিল সানজিদার কাছে। যদিও কোনও প্রস্তাবেই হ্যাঁ করেননি তিনি । এ বার ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব মিলতেই রাজী হয়ে যান।
সানজিদার প্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর রোনাল্ডো মানেই আইকনিক সাত নম্বর জার্সি। রোনাল্ডোর মতো সানজিদাও খেলেন উইংয়ে। সানজিদা সাত নম্বর জার্সিই পরেন। সুতরাং, হ্যাশট্যাগ বুঝতে অসুবিধা হয় না। পোস্টের পরই গুঞ্জন, তাহলে কি ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে? সেই অনুমানই সঠিক। বাংলাদেশের প্রথম সারির এক দৈনিককে সানজিদা জানিয়েছেন, ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে, আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় আসছেন।
সানজিদার মতো ফুটবলার এলে পরিস্থিতি বদলে যেতেই পারে!
সানজিদা যেমন দলের সঙ্গে দ্রুত যোগ দিতে মরিয়া, তেমনই লাল-হলুদ শিবিরও চাইছে, পরিস্থিতি বদল হোক। হয়তো সানজিদার মতো ফুটবলার এলে পরিস্থিতি বদলে যেতেই পারে!
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেছেন তিনি। এবার সেখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিচ্ছেন এই ফুটবলার। ২০২০ সালে AFC ওমেন্স অলিম্পিক্স কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টে অংশ নেন তিনি। বাংলাদেশের মহিলাদের জাতীয় ফুটবল দলে ভরসার মুখ তিনি। ২০২০ সাল থেকে খেলেন বসুন্ধরায়। ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন ক্লাবের জার্সি গায়ে। গোল করেছেন ১২টি।