কলকাতা টুডে ব্যুরো: গরিব মানুষের জন্য জনহিতকর প্রকল্প চালাতে গিয়েই ডিএ দিতে গিয়ে আর্থিক টানাটানির মধ্যে পড়ছে রাজ্য সরকার৷ এ দিন এমনই দাবি করলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ যদিও মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা৷ মন্ত্রীর যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতারাও।
কলকাতা হাইকোর্টে সর্বশেষ হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে৷ হলফনামাতেই রাজ্য সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে,বকেয়া ডিএ দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা এখন রাজ্য সরকারের হাতে নেই৷
শনিবার বকেয়া DA প্রসঙ্গে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারী দের ডিএ যেমন প্রয়োজন তেমনই রাজ্যের গরীব মানুষের কাছে দুবেলা খাওয়া পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের গরিবের সরকার তাই গরিব মানুষের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তাই জন্য এই প্রকল্পগুলো চালাতে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে।’ এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না, তাঁরা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পান। কিন্তু যাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পগুলি করেছেন, তাঁরা প্রতিদিন বাজারে যেতে পারেন না। দু’বেলা হয়তো ঠিক মতো খেতেও পান না। তাই মুখ্যমন্ত্রী সেই সব মানুষের কথাও ভাবছেন।’ একই সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর উক্তি, ‘আমাদের রাজ্যে প্রচুর সংখ্যায় গরিব মানুষ রয়েছেন। নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন বলেন গরীবের হাতে টাকা দিতে হবে। না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে।’