কলকাতা টুডে ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার মহিলা বন্ধু অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ সাত অভিযুক্তের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সোমবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আলিপুর জজ কোর্টে তোলা হয়। সেখানেই সব তথ্য-প্রমাণ এবং বাক বিতর্কের পর এই রায় দেন বিচারক।
এদিন বিচারক শুনানির শুরুতে তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেমন আছেন? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার শরীর দিচ্ছে না’। এরপরেই তিনি বলেন, সব কেস একসঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাতর আবেদন, ‘আমাকে বাঁচতে দিন’। তাঁর অভিযোগ, ‘কিছুই পাওয়া গেল না, তাও চাপ দেওয়া হচ্ছে’।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিন চেয়ে উদাহরণ টেনে আনেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের। বলেন, তাঁকেও জামিন দেওয়া হয়েছিল। তাহলে পার্থকে নয় কেন? আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে একবার বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগের কথা। এরপরেই তাঁর প্রশ্ন, তাহলে আজকের হেয়ারিংয়ে এই কথা কেন আবার তোলা হচ্ছে?
ইডি’র আইনজীবী পার্থের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, অনেক কথোপকথন উঠে আসছে। তদন্ত চলছে। এরপরেই একটি লাল মোমবাতি সামনে রেখে টেনে আনেন ‘ম্যাকবেথ’ প্রসঙ্গ। বলেন, ‘ব্লাড ইন দ্য হ্যান্ডস’।
এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ভার্চুয়াল শুনানির সময় বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, মায়ের ও বোনের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। জানা গিয়েছে, এর আগে মায়ের সঙ্গে ফোনে তিন বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, আলিপুর আদালত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।