কলকাতা টুডে ব্যুরো: পুজোতে চা-বিস্কুট, ঘুঘনি, ঝালমুড়ির মতো ব্যবসার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরের সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আপনি এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বলুন ঘুঘনি তৈরি করে নিন। তার পরের সপ্তাহে তেলেভাজা নিন। একটা টুল আর একটা টেবিল নিন। এতো বিক্রি হবে যে কুলোতে পারবেন না।” এই উক্তির পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধীদের। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী তো নিদান দিয়েছেন পড়াশোনা করে পাশ করা ছেলেপুলেরা ঘুগনি বিক্রি করুন। আর না হলে মাকে বলুক যন্ত্রপাতি যোগাড় করে একটা চায়ের দোকান দিক। চায়ের দোকান ঘুগনির দোকান মুড়ি মসলার দোকান এইগুলো যদি কর্মসংস্থানের মূল ক্ষেত্র হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তবে তো স্পষ্ট হয়ে যায় কর্মসংস্থানের আর বাকি কোন ক্ষেত্র নেই। আর সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থেকে নিজ হাতে জাল নিয়োগপত্র তুলে দিলে এটা ভাবা যায়?”
তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু মুখ্যমন্ত্রী কে এটাই অনুরোধ করব, আপনার প্রিয় ভাইপো কে বলুন চায়ের দোকান দিতে ।আর আপনার প্রিয় ভাইপোর স্ত্রীকে বলুন ঘুগনি বেচতে। ঘুগনি বেঁচে যদি কোটি কোটি টাকা ইনকাম হয় তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারকে সেই পরামর্শ দিচ্ছেন না কেন? তাদের জন্য বেআইনি ব্যবস্থা, কোটি কোটি টাকা, প্লটের পর প্লট। আর শিক্ষিত যুবকদের অসম্মান করা। কোন কাজ ছোট না। তবে যে যার কাজের জন্য পরীক্ষা দিয়ে পাস করে করার পর মুখ্যমন্ত্রী নিদান দেবেন ঘুগনি বিক্রি করো আর না হলে জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ো। পশ্চিমবাংলার হাল যে খুব খারাপ এটা পরিষ্কার।”
Topics
Sujan Chakraborty Congress CPM BJP TMC Administration Kolkata