কলকাতা টুডে ব্যুরো: বৃহস্পতিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা কর্মী সম্মেলনে অংশ নেন সুকান্ত মজুমদার। সবাই বক্তব্য রাখা কালীন সরাসরি তৃণমূল সরকারকে বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করে বলেন ” বিড়াল তো শুধু মাছ খায় জানি। এখন দেখি গরু, কয়লা, পাথর, বালি, সবকিছুই খায়।”
এদিন সুকান্ত বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। বিড়াল কে সবে গাছে তুলেছি। বাংলা মুছে প্রধানমন্ত্রী লেখাচ্ছি। এইবার গদিটাও নিয়ে নেব। বিড়াল কে ঘরছাড়া করব এই বিড়াল পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতা ছাড়া হবে। বিড়াল শুধু মাছ চুরি করে জানতাম এ তো মাছ থেকে বালি থেকে পাথর থেকে কয়লা থেকে গরু থেকে কোন কিছুই বাদ দেয় না। যেখানেই সুযোগ পায় সেখানে চুরি করে। এ এক অদ্ভুত বিড়াল, সব খায়। লোকনাথ বাবার নিচে লেখা থাকে ‘রণে বনে জনে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়ে আমাকে স্মরণ করিবে’ আর তৃণমূল ওটাকে চেঞ্জ করে নিয়েছে ‘রনে বনে জনে জঙ্গলে যেখানেই সুযোগ পাইবে কাটমানি খাইবে’ তৃণমূল কংগ্রেস এটাকে মন্ত্র বানিয়ে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি স্কুলে পড়িয়েছি এক বছর তিন মাস। কলেজে পড়িয়েছি পাঁচ বছর। পাঁচ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পর আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। আমি ছোটবেলা থেকে দেখতাম আমি যখন সাইকেল চালাতে চালাতে যেতাম দিদিমণিদের সঙ্গে দেখা হলে আমরা রাস্তায় নেমে যেতাম। আমি যখন মাস্টারমশাই হলাম তখন আমার ছাত্ররা আমাকে দেখলে রাস্তায় নেমে যেত। আজকে সেই মাস্টারমশাইদের চাকরি বিক্রি করতে করতে এমন জায়গায় এসে গেছে আজকে যদি কোন মাস্টারমশাই ব্ল্যাকবোর্ডে অংক করতে গিয়ে কোথাও ভুল করেও ভুল করে, ছাত্ররা পেছন থেকে আলোচনা করে এটা এসএসসির মাস্টার নাকি মানিকের মাস্টার। এখন মাস্টার মশাই দিদিমণি কারুর সম্মান নেই। সব বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।”