কলকাতা টুডে ব্যুরো: বুধবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের পুজোর সময় মনে হয় এখানেই বসতে হবে। আমরা ওদের পাশে আছি।”
চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে এদিন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি দুর্গাপুজোর সময়ে চা-বিস্কুট, ঘুঘনি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়েও খোঁচা দেন বিরোধী দলনেতা। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, তাঁদের আন্দোলনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। ববিতা সরকার যেভাবে আইনি লড়াই করেছেন, সেই ভূমিকারও প্রশংসা করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “তৃণমূলের যিনি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর তিনি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং করেছেন এখন উনি চেষ্টা করছেন এদের মধ্যে ডিভিশন তৈরি করা এর এরা ঐক্যবদ্ধ আছে এবং আমাদের সাপোর্ট পুরো মাত্রায় আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এসেছিলাম চাকরিপ্রার্থীদের পরামর্শ দিতে। চাকরিপ্রার্থীদের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছে
চোখের দিকে তাকানো যায় না। আমি যখন আগে এসেছিলাম তার সাথে এক্ষণের অনেক অনেক পার্থক্য চেহারার অনেক বদল হয়েছে। প্রত্যেককে দেখলেই বোঝা যায় প্রত্যেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি বলেছি ভাই বোনেরা অনশন করবে না বাকি সব লড়াই চালিয়ে যাও। আর সরকারের কাছে অনুরোধ করব পুজোর আগে এরা যাতে আনন্দ সহকারে বাড়ি যেতে পারে। আপনি ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়েছেন ষাট হাজার এক লাখ দিলেও কোনো সমস্যা নেই এদেরকেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে বাড়ি পাঠান। সরকারি কর্মচারী শিক্ষকদের বকেয়া DA-র কুড়ি পার্সেন্ট দিয়ে এই যে ভর্তি ভর্তি কাজ হয়ে গেছে তাদের মধ্যে এটাকেও ঢুকিয়ে নিন তাহলে মনে হয় ভালো হবে। তাহলে এদের কি আর কেটলি কিনতে হবে না, মাকেও বলতে হবে না ঘুগনি বানিয়ে দিতে, আর পুজো প্যান্ডেলের সামনে চা আর ঝাল মুড়ি বিক্রি করতে হবে না।”
Topics
Suvendu Adhikary BJP TMC Administration Kolkata