কলকাতা টুডে ব্যুরো: ‘‘তাড়াতাড়ি নিয়োগপত্র দিন। আর সরকারকে বলব আমায় যেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার কোনও স্কুলে চাকরি দিতে। আর আমি চাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাচ্চা-কাচ্চারা ওই স্কুলে এসে ভর্তি হোক’’ টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম থাকা প্রসঙ্গে সরকারকে খোঁচা দিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে এসে এই কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি নাম্বার পাইয়ে দেওয়ার বক্তব্যে পাল্টা তৃণমূলকে বিধতেও ছাড়েন নি বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি তাঁর দাবি, তৃণমূলের আমলে নিয়োগের সম্পূর্ণ তালিকাটাই ভুয়ো। সরকার তথা শাসকদল দুর্নীতি যে কোন পর্যায়ে করেছে ধীরে ধীরে সব সামনে আসছে। টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রাজনীতিবিদদের নাম থাকা প্রসঙ্গে ‘ভুতুড়ে’ তালিকা বলেও সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘‘এই সরকার সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। এই সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’’
২০১৪-এর প্রাইমারি টেটের যে তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ দিলীপ ঘোষের মতো নাম দেখা যাচ্ছে সেই তালিকা সঠিক বলেই মেনে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গোটা বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ইতিমধ্যেই পর্ষদের টেকনিক্যাল টিমকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তারপর টেকনিক্যাল টিম গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। খতিয়ে দেখার পর তাদের তরফে পর্ষদকে জানানো হয় যে এই নামগুলো সঠিক অর্থাৎ এই নামেই আবেদন এসেছিল ২০১৪-এর প্রাথমিকের টেটে। এই নামেই আবেদন আসায় ওই নামগুলি তালিকায় এসেছে বলে দাবি পর্ষদ সভাপতির।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪-এর প্রাথমিকের টেটের মেধা তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১১ নভেম্বর তালিকা প্রকাশ করা হয় পর্ষদের তরফে। প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রাথীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নাম দেখা যায়। আর সেই তালিকাই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। উল্লেখ্য, মমতা ছাড়াও শুভেন্দু, সুজন, দিলীপ-সহ একাধিক হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের নাম রয়েছে তালিকায়। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।