কলকাতা টুডে ব্যুরো: ‘দক্ষিণ কলকাতায় কয়েক জন নেতা রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, লালমাটি, বালুমাটিকে শাসন করবে! আপনারা মানবেন মুন্ডারা? মানবেন কুর্মিরা?’, রাইপুরের সভায় প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জঙ্গলমহলের মানুষ রাজ্যের বাকি অংশের মানুষের মতোই নিপীড়িত, মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে শাসকদলকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করে বলেন, ‘শোষণ করে, মা-বোনেদের ৫০০ টাকা ছুড়ে দিয়ে, আমাদের জনজাতি মূলবাসীদের সামান্য চাল ছুড়ে দিয়ে আজ দক্ষিণ কলকাতার কয়েক জন মানুষ রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, লালমাটি, বালুমাটিকে শাসন করবে? ‘
তৃণমূলকে হঠাতে গেলে বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আহ্বান শুভেন্দুর। বললেন, ‘জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন না। ২০১০ সালের জুলাই মাসে উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলছেন, লালগড়ে একটা সভা করতে চাই, শুভেন্দু পারবি করতে?’ বিরোধী দলনেতার দাবি, তিনি সেই সভা করে দেখিয়েছিলেন। এর পরেই বলেন, ‘মাহাতো, টুডু, সরেন, হাঁসদা হলেই মাওবাদী, এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। শুভেন্দুর দাবি, জঙ্গলমহলের মানুষদের নিয়ে সেই লড়াইয়ের সুফলই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ২০১১ সালে পেয়েছিলেন। প্রায় একই সঙ্গে কটাক্ষ। ‘তখন কয়লা-ভাইপো, গরুচোর ভাইপো, তোলবাজ ভাইপো পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন না। তিনি দিল্লিতে ছিলেন, নিরাপদ আশ্রয়ে।’ নাম না করে সবশেষে তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশে শুভেন্দুর হুঙ্কার, ২০২১ সালে যেমন হারিয়েছিলেন, তেমনই ডাবল-ইঞ্জিন সরকার আনার শপথ নিচ্ছেন। পাঞ্চলাইন, ‘তিনটি বিধানসভার মানুষ আজ এসেছেন। এই তো সবে ট্রেলার, পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’