সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম
কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম জানান যে লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সময় দু’জন ব্যক্তি তাদের হাতে ক্যানিস্টার নিয়ে দর্শক গ্যালারি থেকে হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি দাবি করেন, ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া আসছে।ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে উঠছেন, তারপরে আচমকা অশান্তির সৃষ্টি হয়৷ দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
ঘটনাটি ঘটে যখন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু মালদহে যে বিমানবন্দর হওয়ার কথা, সে বিষয়ে বলতে শুরু করেন। আর তখনই লাফিয়ে আসে অই ব্যক্তি।
সভাপতি রাজেন্দ্র আগরওয়াল
যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন সেখানে বিজেপির সভাপতি রাজেন্দ্র আগরওয়াল উপস্থিত ছিলেন। সুত্রের খবর অনুযায়ী তিনি জানান হঠাৎ করে, দু’জন যুবক, সম্ভবত তাদের হাতে ক্যানিস্টার ধরিয়ে দর্শক গ্যালারি থেকে হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ক্যানিস্টারগুলি থেকে হলুদ ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একজন স্পিকারের চেয়ারের দিকে দৌড়ানোর চেষ্টা করছিল।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব
কার্তি চিদাম্বরমের বক্তব্যে জানা যায় । এটি নিরাপত্তার একটি গুরুতর লঙ্ঘন, ১৩ ডিসেম্বর, যেদিন ২০০১ সালেও সংসদে হামলা হয়েছি । সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব দাবি করেছেন যে সেখানে একটি “সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি” ছিল। জানা যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বের করে আনে। হাউসটি দুপুর 2টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
সুত্রের খবর হামলাকারীরা বিজেপি সাংসদের অতিথি! জানা যাচ্ছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি। তাঁদের মুখে ছিল, ‘জয় ভীম’ স্লোগান।
গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। এদিকে, এই ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কীভাবে গ্যাস বম্ব নিয়ে ভেতরে পৌঁছয় অভিযুক্তরা?
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি বলেছেন , “দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে আমদের চিন্তা ছিল ওই ধোঁয়া নিয়ে। তা কী ছিল বা কেমন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই ধোঁয়ায় বিশেষ কোনও কিছু ছিল না। তা প্রতিবাদ করার জন্যই ব্যবহার হয়েছিল। ফলে আতঙ্কের কারণ নেই।”