কলকাতা টুডে ব্যুরো: ঘড়িতে দুপুর আড়াইটে, তাশের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়লো নয়ডার টুইন টাওয়ার। তিন হাজার কেজি বিস্ফোরকের দাপটে মূহুর্তে মাটিতে মিশে গেল ৪০ তলা উঁচু ইমারত। বিস্ফোরণের পর বিশাল ধোঁয়া ও ধূলোয় ভরে যায় চারদিক।
আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নয়ডায় ২০১৩ সালে তৈরি শুরু হয়েছিল নয়ডার টুইন টাওয়ার। স্থানীয়রা বাধা দিয়েও পেরে ওঠেননি টাওয়ার নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে। বাধ্য হয়েই বাসিন্দারা দ্বারস্থ হন আদালতের। ওই টুইন টাওয়ারের একটির উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির উচ্চতা ৯৭ মিটার। কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু ওই টুইট টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। বাসিন্দাদের অভিযোগ, টাওয়ার দুটি তৈরির সময় নির্মাণের নিয়ম মেনে চলা হয়নি। টাওয়ার দুটি তোলার নিয়ম ছিল কমপক্ষে ১৮ মিটার দূরে। কিন্তু দেখা যায় টাওয়ার দুটির মধ্যেকার দূরত্ব মাত্র ৯ মিটার।
আদালতের নির্দেশের পরই এদিন বিস্ফোরক ব্যাবহার করে ভেঙ্গে ফেলা হল বেআইনী নির্মাণ। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই ঢেকে গেল ধুলোর ধোঁয়ায়। এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৩ হাজার কেজিরও বেশি বিস্ফোরক। আসপাশের বাসিন্দাদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশের বেশ কয়েকটি ভবন ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আনা হয়েছে ১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক, আর কর্মীদের জন্য ৬টি যান্ত্রিক সুইপিং মেশিন আনা হয়েছে। ১৫০ সাফাই কর্মী এই দিন একসঙ্গে কাজ করবেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যা সরাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে।
Topics
Uttar Pradesh Greater Noida Twin Tower Administration Kolkata