শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর যাত্রা
শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর যাত্রা। আর সেই যাত্রাতেই যানবাহনের ব্যাঘাত। গঙ্গাসাগরের মকরসংক্রান্তির ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হয় যান চলাচল। দৃশ্যমানতা কম থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভেসেল পরিষেবা। বন্ধ ছিল বাস চলাচলও। বাস, লঞ্চ এবং ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েন গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীরা।
রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানের সময় শুরু হয়েছে। কিন্তু রাতে সাগরে জোয়ার থাকায় সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি কাওকেই। সোমবার ভোর ৩টে থেকে স্নান যাত্রা শুরু হয়। পুণ্যলগ্ন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।
কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা মুড়িগঙ্গা নদীতে বন্ধ ছিল ভেসেল চলাচল
গঙ্গাসাগরে স্নান যাত্রা দেখার মত ছিল এদিন। একাধিক মানুষের ঢল নামে গঙ্গাসাগরে । কিন্তু কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা মুড়িগঙ্গা নদীতে বন্ধ ছিল ভেসেল চলাচল। জানা যাচ্ছে লঞ্চ পরিষেবাও বন্ধ ছিল নামখানা পয়েন্টে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে লঞ্চ এবং ভেসেল চলাচল শুরু হলেও সকাল ৯টার পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়। সাগরমেলা থেকে কচুবেড়িয়ার মধ্যে বাস পরিষেবাও বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ ছিল।
সোমবার ভোর থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীদের ঢল নজরে পরে । একবার গাঙ্গাসাগর স্নান করতে এসেছে একাধিক মানুষ। দখলে চলে গিয়েছে গোটা সাগরতট। পাশাপাশি ভক্তিমূলক গানবাজনার মাধ্যমে আরাধনা করতে দেখা গিয়েছে একাধিক মানুষকে। ভিড় এড়াতে ভোর ভোর স্নান সেরে কেউ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। কেউ আবার সাগরে দাঁড়িয়ে সেরেছেন সূর্যপ্রণাম।
সোমবার জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, ভিড় ৭৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে
সূত্রের খবর, রবিবার পর্যন্ত মেলায় অন্তত ৬৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সোমবার জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, ভিড় ৭৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি জেলা প্রশাসনের তরফে।
স্নান করতে আসা সকলে যাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সব রকম দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করার পাশাপাশি, স্পিড বোট নামিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছে। নজরদারিতে রয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও। জানা যাচ্ছে সাগর মেলায় আসার পথে দু’জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রহ্লাদ সিংহ (৬৯) এবং রাজস্থানের বাসিন্দা মোহন লাল প্রজাপতি (৫৭)। ময়নাতদন্তর পর তাঁদের মৃতদেহ পরিবার পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।