ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জন্য ট্রফিটি অধরা রয়ে গেছে।
একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বিরাট কোহলি এবং ব্যাঙ্গালোরের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এই হতাশা কোটি কোটি ভক্তের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। আবারও, তারা পরের মরসুমে আশাবাদী হয়ে টিভি পর্দার সামনে বসেছে। কিন্তু তবুও ভাগ্যে জুটেছে সেই হতাশাই। কিন্তু কোহলিরা যা করতে পারেনি সেই না পারাকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে পৌঁছে ট্রফি জিতলেন মহিলা আরসিবি টীম। নিঃসন্দেহে, বছরের পর বছর হতাশার পর ব্যাঙ্গালোরের ভক্তদের জন্য এটি একটি আনন্দের মরশুম ছিল। প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হার মানতে হয়েছিল বেঙ্গালুরুকে । টুর্নামেন্ট তাদের জন্য হতাশা নিয়েই শেষ হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে আশা নিয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই দায়িত্ব নেন রিচা ঘোষ ও এলিস পেরিরা। ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের শুরুটা মন্দ ছিল না, কিন্তু অষ্টম ওভার খেলাকে পুরোপুরি বদলে দেয়। একই ওভারে তিন উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালস এবং এক ধাক্কায় রানরেট কমে যায় তাদের। এরপর শ্রেয়াঙ্কা পাতিল বোলিংয়ে নামলে তিনি মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেয়। এরপর আশা সোভানাও নেন দুটি উইকেট। ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লী ক্যাপিটালস। মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের হাসি হাসেন মান্ধানারা। অধিনায়ক নিজেই খেলে ৩১ রানের ইনিংস।৩২ রানেই সোফি ডিভাইন ফায়ার গেলে পেরি (৩৫*) এবং রিচা (১৭*) একটি অপরাজেয় পার্টনারশিপের মাধ্যমে দিল্লিকে অনায়াসে হারিয়ে দেন। মহিলা দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন কর্ণধর বিজয় মালিয়া তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মহিলা দলকে অনেক অভিনন্দন। আরসিবির ঘরে ডবল ট্রফি এসে আরও ভালো লাগবে। পুরুষ দলকে শুভেচ্ছা।”